বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বঙ্গতনয়া মৌনি রয়। দীর্ঘদিনের প্রেমিক সুরজ নাম্বিয়ার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে জড়ান বলিউডের এই অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) মালায়ালি রীতিতে সম্পন্ন হয়েছে তাদের বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা।
বিজ্ঞাপন
জাঁকজমক কোন পোশাক নয়, বিশেষ এই দিনটির জন্য মৌনি বেছে নিয়েছেন সাদা শাড়ি লাল পাড়। আর তার বর পরেছিলেন খাকি রঙের পাঞ্জাবী এবং সাদা লুঙ্গি।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) একইদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে মৌনি-সুরজের হলুদ ও মেহেদী অনুষ্ঠান। এরইমধ্যে হলুদ ও মেহেদী অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা রীতিমতো ভাইরাল।
কিন্তু জানেন কি অভিনেতা গৌরব চোপড়ার সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কে ছিলেন মৌনি। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তার কারণ জানা যায়নি। ‘দেব কে দেব মহাদেব’ সিরিয়ালে কাজ করতে গিয়ে মোহিত রায়নার প্রেমে পড়েছিলেন মৌনি। তবে হঠাৎ করে ভেঙে যায় সে সম্পর্কও। এরপর শোনা যায় ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ ছবির নির্মাতা অয়ন মুখার্জির সঙ্গেও মৌনির প্রেমের সম্পর্কের কথা। শেষমেষে সেটিও ভেঙে যায়।
গৌরব-মোহিত-অয়ন এখন মৌনির অতীত। সবকিছু পেছনে ফেলে আজ সুরজের সঙ্গে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন বলিউডের গ্ল্যামার গার্ল। কিন্তু কে এই সুরজ নাম্বিয়ার?
সুরজ নাম্বিয়া গ্ল্যামার দুনিয়ার বাইরের একজন মানুষ। দুবাইয়ের আমির-শেখদের লাভ-ক্ষতির হিসেব কষেন সুরজ অর্থাৎ দুবাইয়ের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার।
সুরজ নাম্বিয়ার জন্ম বেঙ্গালুরুতে। সুরজের স্কুল এবং কলেজ শিক্ষা বেঙ্গালুরুতে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর নিজের বিষয় বদল করে লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়াশোনা করতে যান। পরে অবশ্য বাবা-মাকে নিয়ে দুবাইয়ে পাকপাকি ভাবে চলে যান মৌনির বর।
মৌনির শ্বশুর একজন ব্যবসায়ী। নাম রাজা নাাম্বিয়া। শাশুড়ি রেণুকা পেশাদার গায়িকা।
বাবা এবং মা দু’জনেরই প্রতিভা পেয়েছেন সুরজ। পেশাদার এই ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার এবং ব্যবসায়ীর নিজের গানের ব্যান্ডও আছে।
তবে এর পাশাপাশি আরও একটি শখ আছে মৌনির হবু স্বামীর। মাঝে মধ্যেই সব ছেড়ে ছুড়ে অ্যাডভেঞ্চারে বেড়িয়ে পড়েন। বিপজ্জনক সব অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টে অংশগ্রহণই নাকি তাঁর সেরা অবসর যাপন।
ফুটবল প্রিয় বাঙালির হবু জামাই সুরজও ফুটবল খেলতে ভালবাসেন। ব্রাজিল সমর্থক।
সুরজ পশুপ্রেমীও। প্রেমিকার জন্মদিনে তাকে একটি কুকুর ছানা উপহার দিয়েছিলেন।
আপাতত বঙ্গতনয়ার ডেস্টিনেশন ওয়েডিং নিয়ে মজে রয়েছে সৈকত শহর গোয়া।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে সুজেয় শ্যামের নাম। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নয়টি গানে সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম, যেগুলো একাত্তরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখনই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীতপরিচালক সুজেয় শ্যামকে বলা হল, বিজয়ের গান করতে।
এরপর শহীদুল ইসলামের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই/ খুশির হাওয়ায় উড়ছে/ উড়ছে উড়ছে উড়ছে/ বাংলার ঘরে ঘরে’ গানটিতে সুর করেন সুজেয় শ্যাম। মাত্র ১৫ মিনিট লেগেছিল গানটি লেখা ও সুর করতে; এরপর রেকর্ডিং। মাত্র এক ঘণ্টায় তৈরি হয়েছিলো পুরো গানটি, যা এখনো বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করতে গেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের এই মহান শিল্পী আজ (১৮ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সুজেয় শ্যামের মেয়ে রূপমঞ্জুরী শ্যাম লিজা বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তার বাবার মরদেহ সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে রাখা হয়। এখন সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। তার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীতাঙ্গনে। কিছু তারকা সেই শোক প্রকাশ করেছেন নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান লিখেছেন, ‘সহযাত্রী,বন্ধু, শব্দসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংগীতপরিচালক সুজেয় শ্যাম রাত ৩টায় পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে! শান্তি কামনা করি।’
ব্যান্ড সঙ্গীতের জনপ্রিয় নাম নকিব খান লিখেছেন, ‘সত্যিই দুঃখিত! আরেকজন কিংবদন্তি সুরকার সুজেয় শ্যাম দা’কে হারালাম! তার আত্মা শান্তি পাক... আমাদের গভীর শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা!’
জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ লিখেছেন, ‘একুশে পদকে ভূষিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, দেশ বরেণ্য সঙ্গীতপরিচালক, সুরকার সুজেয় শ্যাম আর নেই। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
প্রখ্যাত শিল্পী প্রয়াত বশির আহমেদের কন্যা শিল্পী হুমায়েরা বশির লিখেছেন, ‘সুজেয় শ্যাম কাকা আর নেই। তার আত্মা শান্তি পাক... আমাদের গভীর শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা!’
আরেক ক্লোজআপ তারকা অপু আমান তার শ্রদ্ধেয় সঙ্গীতপরিচালক ও সুরকার সুজেয় শ্যামকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছেছিলেন ঢাকেশ^রী মন্দিরে। সেখান থেকে মরহেদের একটি ভিডিও পোস্ট করে এই শিল্পী লিখেছেন, ‘আসুন তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।’
সঙ্গীতশিল্পী টিনা মুস্তারি সুজেয় শ্যামের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আরেকজন কিংবদন্তি সঙ্গীতপরিচালক সুজেয় শ্যাম স্যারকে আমরা হারালাম। তার আত্মার শান্তি কামনা করি। একবার সৌভাগ্য হয়েছিল তার সঙ্গে কাজ করার। আমার শো এর গেস্ট হিসেবে তিনি এসেছিলেন।’
শরীরে ক্যান্সার নিয়েই কাটছিল সুজেয় শ্যামের দিন; সঙ্গে ডায়েবেটিস, কিডনিসহ নানা জটিল রোগও ছিল। গত জুন মাসেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শিল্পী। গত সেপ্টেম্বর তার হার্টে পেসমেকার বসানোর পর ইনফেকশন হয়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন তার কন্যা লিজা। ওই সময় আইসিইউতে শয্যা খালি না থাকায় তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
১৯৪৬ সালে সিলেটে জন্ম নেওয়া সুজেয় শ্যামকে সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। তার আগে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক পান তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে সুজেয় শ্যামের নাম। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নয়টি গানে সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম, যেগুলো একাত্তরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘ওরে শোনরে তোরা শোন’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আজ রণ সাজে বাজিয়ে বিষাণ’, ‘আহা ধন্য আমার’,‘আয়রে চাষী মজুর কুলী’। তার সুর করা গানের মধ্যে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’ এবং ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গান দুটি বাংলাদেশের যে কোনো জাতীয় দিবসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে।
গিটার বাদক ও শিশুতোষ গানের পরিচালক হিসেবে ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান চট্টগ্রাম বেতারে কর্মজীবন শুরু হয় সুজেয় শ্যামের। পরে তিনি ঢাকা বেতারে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন সুজেয় শ্যাম। ঢাকাই চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশ বেতারের প্রধান সংগীত প্রযোজক পদ থেকে ২০০১ সালে অবসরে যান সুজেয় শ্যাম। ২০০৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত ৪৬টি গানের সংকলন নিয়ে ‘স্বাধীন বাংলা বেতারের গান’ শিরোনামে একটি অ্যালবামের সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে আরও ৫০টি গানের সংকলন নিয়ে ‘স্বাধীন বাংলা বেতারের গান-২’ নামে আরেকটি অ্যালবামের সংগীত পরিচালনা করেন শিল্পী। ‘টুনাটুনি অডিও’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
এছাড়া মঞ্চনাটকেও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যুক্ত ছিলেন সুজেয় শ্যাম। তিনি আরণ্যক নাট্যদল প্রযোজিত ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘দি জুবিলি হোটেল’ নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনের সময় যে ক’জন শোবিজ তারকা সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন তাদের একজন ছোটপর্দার তরুণ অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। ছাত্রদের পাশে নানাভাবে তাকে থাকতে দেখা গেছে। আওয়ামীপন্থি সিনিয়র তারকাদের কটাক্ষ করেও আলোচনায় আসেন তিনি।
এরপর বিনোদন সাংবাদিকের সঙ্গে নিজের একটি ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সম্প্রতি তিনি ফের আলোচনায় আসেন সাদিয়া।
মাঝে আন্দোলনের জন্য থমকে থাকা শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন একটু একটু করে চলতে শুরু করেছে। বেশকিছু তারকা বড় বড় প্রজেক্টের সঙ্গে নিজেকে যুক্তও করছেন। কিন্তু সাদিয়া আয়মানের তেমন কোন কাজের সুযোগ এখনো আসেনি। তিনি বরং নিয়মিত বাজেটের টিভি নাটকেই অভিনয় করছেন অল্প বিস্তর।
এই অভিনেত্রী সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভির টকশোতে অংশ নিয়েছেন। সেখানে কথা বলেছেন নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে। সিনেমার নিজেকে কার নায়িকা হিসেবে দেখতে চান? উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নের জবাবে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘দেশের বাইরে হলে আদিত্য রয় কাপুরের সঙ্গে সিনেমা করতে চাই। তাকে আমার খুব ভালো লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর দেশের মধ্যে কারও নাম বলতে পারছি না। গল্প ও চরিত্র অনুযায়ী নির্মাতা যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তার সঙ্গেই আমি কাজ করবো। আমি কেবলমাত্র একজন অভিনেত্রী, নায়ক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমার কোন হাত নেই। তবে শাকিব খান, আরিফিন শুভ, সিয়াম আহমেদই তো সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে তো ভালো লাগবেই।’
সাদিয়া কথা বলেন তার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের নিয়েও। তার ভাষ্যমতে, নাটকে তার সমসাময়িক নায়িকা বলতে রয়েছেন আইশা খান, তটিনী আর নিহা। তারা প্রত্যেকেই খুব ভালো কাজ করছে। তটিনী নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করছে। আর নিহা সবার থেকে বয়সে ছোট। তারপরও সে এই বয়সে যতোটুকু অভিনয় করছে সেটা প্রশংসার দাবিদার।
নিহার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাদিয়া বলেন, ‘আমি আর নিহা মিজানুর রহমান আরিয়ানের একটি হিট নাটকে কাজ করেছি এ বছর। ওই নাটকে নিহা দারুণ অভিনয় করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে একই সারির দুজন অভিনেত্রীকে কোন নির্মাতা এক করতে পারেনি। আরিয়ান ভাইয়া আমাকে আর নিহাকে দিয়ে সেই কাজটি করিয়ে নিয়েছেন।’
নিজের নাম দিয়ে বিভ্রান্তির কথাও বলেন সাদিয়া আয়মান। অনেকেই নাকি ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আয়মান সাদিক আর সাদিয়া আয়মান ভাই-বোন। এমনকি কেউ কেউ নাকি আয়মান সাদিকের বিয়ের সময় ভুল করে সাদিয়া আয়মানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছে!
আজও একঝলক তাকে দেখে মনে ঝড় ওঠে কোটি কোটি মেয়ের। সেই শাহরুখ খান এবার পৃথিবীর অন্যতম সুদর্শন অভিনেতা বিবেচিত হলেন। কোনও পত্র-পত্রিকা নয়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শাহরুখের মুখের গঠন পরীক্ষা করে এই দাবি করছেন চিকিৎসকরাই।
গাণিতিক সূত্র ‘গ্রিক গোল্ডেন রেশিও অফ বিউটি ফি’র আগমন গ্রিস থেকেই। সৌন্দর্য বিচারে এই সূত্র ব্যবহার করা হতো সেখানে। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি চিত্রকর্মে ওই সূত্র ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমের পুরুষের আদর্শ দেহসৌষ্ঠব তুলে ধরা হয়। এটি একটি ঐতিহাসিক সূত্র যা শিল্পকলা, নকশার পরিপূর্ণতা এবং নান্দনিক আবেদন পরিমাপের জন্য প্রয়োগ করা হয়। ওই পদ্ধতি মেনে, ফেস ম্যাপিং সফটওয়্যারের সাহায্যে অভিনেতাদের মুখসৌষ্ঠব নিয়ে গবেষণা চালান লন্ডন নিবাসী প্রখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন জুলিয়ান ডি সিলভা এবং তার সহযোগীরা।
আর সেই গবেষণাতেই সেরা ১০ সুপুরুষ অভিনেতার তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শাহরুখ। ২০২৪ সালের ওই তালিকায় ভারত থেকে একমাত্র শাহরুখই ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। মুখসৌষ্ঠব অনুযায়ী শাহরুখের স্কোর ৮৬.৭৬ শতাংশ। গবেষকরা জানিয়েছেন, শাহরুখ সুন্দর ভাবেই বার্ধক্যের দিকে এগোচ্ছেন। বিশেষ করে শাহরুখের ঠোঁট এবং চৌকো থুতনির প্রশংসা করেছেন তারা। কিছুটা নম্বর কাটা গিয়েছে নাকের জন্য। তিনি তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন।
ওই তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন ইদ্রিস আলবা, তার স্কোর ৮৭.৯৪। ‘রিভারডেল’খ্যাত চার্লস মেলটন অষ্টম স্থানে রয়েছেন। সপ্তম স্থানে রয়েছেন ‘দ্য গ্রেট’খ্যাত নিকোলাস হোল্ট। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা তারকা জর্জ ক্লুনি। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ‘ডানকার্ক’খ্যাত জ্যাক লোডেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’ তারকা পল মেসক্যাল। তৃতীয় স্থান দখল করেছেন হলিউডের সেক্সিয়েস্ট অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসন। দ্বিতীয় স্থানে ‘গ্রেঞ্জ হিলে’র লুসিয়েন লিওন এবং প্রথম স্থানে রয়েছেন অ্যারন টেলর-জনসন। তার স্কোর ৯৩.০৪ শতাংশ।
এই তালিকায় শাহরুখের অবস্থান সকলের নজর কেড়েছে। তার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল বলে মনে করছেন অনুরাগীরা।
ছোটপর্দার সুপারস্টার জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তাকে রোমান্টিক গল্পের সেরা অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করে দর্শক থেকে তারকারা। তবে তার এই ইমেজ একদিনে তৈরি হয়নি। অপূর্ব জানান, শত শত রোমান্টিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক তাকে রোমান্টিক গল্পের অপরিহার্য শিল্পী করে তুলেছেন।
গতকাল (১৬ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমিও বলছিলেন, ‘রোমান্টিক কোনো গল্পের প্লট তৈরি করলে অপূর্ব ভাইয়ের কথা সবার আগে মনে পড়ে।’ বিষয়টিকে সৌভাগ্য মনে করেন অভিনেতা অপূর্ব।
প্রায় পাঁচ বছর পর অপূর্বকে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’খ্যাত নির্মাতা অমি। তারা আগামী বছরের ভালোবাসা দিবসে হাজির হবেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’র ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ নিয়ে। এতে অপূর্বর বিপরীতে অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
অপূর্ব বলেন, অমির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন কাজ হয়নি। তবে আমরা একসঙ্গে কাজ করলে বড় কোন প্রোজেক্ট দিয়েই ফিরবো বলে পরিকল্পনা করছিলাম। অবশেষে বঙ্গ সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অমিও ডিরেক্টর হিসেবে অনেক পরিণত হয়েছে। ওর কাজ দেখতে ভীষণ পছন্দ করে দর্শক। আর তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গেও আমার অনেক কাজ হয়েছে। অভিজ্ঞতা সব সময় খুব ভালো। ফারিণও এখন খুব জনপ্রিয়, তাকে নিয়ে কোথাও গেলে ভীড় সামলাতে হিমসিম থেকে হয় (মজার ছলে)। সব মিলিয়ে বলতে পারি ব্যতিক্রমী কাজ এটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘হাউ সুইট’ একটি রোমান্টিক কমেডি ঘরানার সিনেমা হতে যাচ্ছে। পরিচালক অমি জানান, সবসময় এমন কনটেন্ট বানাই যেন মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। ‘হাউ সুইট’ কাজটিও ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, চমচম খেলে যেমন মিষ্টি অনুভব হয়, এই গল্পটি দেখার সময় দর্শকদের সেই অনুভূতি হবে। আর এই ধরনের কাজে অপূর্ব ভাই ছাড়া কেউ মাথায় আসেনি। ফারিণের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া অনেক ভালো। সে রোমান্টিক সিরিয়াস দুই চরিত্রেও ভালো করে। এ কারণে তাদের নিচ্ছি।
অভিনেত্রী ফারিণ বলেন, আমার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য কাজ এক্স বয়ফ্রেন্ড যেটা অমি ভাইয়ের বানানো। ওই কাজে আমি না থাকলে হয়তো আজকে এখানে আসতে পারতাম না। এ জন্য আমি সবখানে বলি আমার ক্যারিয়ারে কাজল আরেফিন অমি ভাইয়ের অনেক অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ তার সঙ্গে ‘অসময়’ কাজটি দিয়েও মানুষের অনেক প্রশংসা ভালোবাসা পেয়েছি। তাছাড়া অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে আগে অনেক কাজ করেছি। তিনি ভীষণ ভালো অভিনেতা। ‘হাউ সুইট’ পুরো টিমের মাধ্যমে আগামীতে দর্শক আবার দারুণ কিছু পাবে বলে আমি আশা রাখছি।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, হাউ সুইট-এ আরও অভিনয় করবেন সাইদুর রহমান পাভেল। ঢাকা ও বরিশালে এর শুটিং হবে। ওয়েব ফিল্ম হলেও এটি সিনেমার আয়োজনে শুটিং হবে। থাকবে অ্যাকশন ও একটি আইটেম গান।