কবরী আপা বলেছিলেন- তোমার মুখটা দেখলেই মনে হয় বাংলাদেশ!

  • রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগ্রহ

ছবি: সংগ্রহ

২০০৪ সালে লাক্স সুন্দরী হয়ে মিডিয়ায় পা ফেলেছিলেন জ্যোতি। তারপর অভিনয়ে, ছোটপর্দায় নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন। চরিত্র নির্ভর নাটকে জ্যোতি নিজেকে পরিচালকদের আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। ২০০৫ সালে চিত্রনায়িকা কবরি সরোয়ারের হাত ধরে তার পরিচালিত ‘আয়না’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষিক্ত হন জ্যোতি। ২০২১ সাল পর্যন্ত তার ঝুলিতে জমেছে দশটি চলচ্চিত্র। অধিকাংশই প্রশংসিত ও পুরস্কৃত।

সর্বশেষ মুক্তি পেল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘লাল মোরগের ঝুটি’। নুরুল আলম আতিক পরিচালিত চলচ্চিত্রটি এখনও বড়পর্দায় প্রশংসিত হয়েই প্রদর্শিত হচ্ছে। এরই মধ্যে জ্যোতি যুক্ত হলেন নতুন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রে।

বিজ্ঞাপন

হোসনে মোবারক রুমি পরিচালিত চলচ্চিত্রটির নাম ‘অন্তেষ্টিক্রিয়া’। রাজশাহীর নওগাঁয় চলচ্চিত্রটির শুটিংয়ে বসেই জ্যোতি হিসেব দিলেন- ক্যারিয়ারের দশটি চলচ্চিত্রের পাঁচটিই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছেন তিনি। কেমন লাগছে?

জ্যোতি বললেন, “এটা খুব সৌভাগ্যের বিষয় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পরিচালকরা আমাকেই পছন্দ করছেন। এ মুহূর্তে কবরী আপার একটা কথা মনে পড়ছে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমার মুখটা দেখলেই মনে হয় বাংলাদেশ, এত মায়া!’। প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে আমার কয়েকটি ছবি টিভিতে বা বিভিন্ন প্রদর্শনীতে দেখানো হয়। এর চেয়ে গর্বের আর কি আছে। তা ছাড়া প্রতিটি চলচ্চিত্রই দারুণ প্রশংসিত।”


তবে, জ্যোতির চাওয়া, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও তাকে ভাবুক নির্মাতারা। যেমনটা করেছেন কবরী সরোয়ার পরিচালিত ‘আয়না’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নন্দিত নরকে’ কিংবা কলকাতার ‘রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত’ চলচ্চিত্রে।

জ্যোতি অভিনীত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো হল তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘রাবেয়া’, মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘জীবনঢুলি’ ও ‘অনিল বাগচির একদিন’, মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘মায়া, দ্য লস্ট মাদার’, নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। হোসনে মোবারক রুমির পরিচালনায় নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রে জ্যোতির চরিত্রের নাম ‘রেবতি’। একজন হিন্দু গৃহবধু সে।

গল্পের ব্যাপ্তি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে তার পরবর্তী দশ বছর। জ্যোতির চরিত্রটির বৃদ্ধ বয়সী রূপে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান।

জ্যোতি বললেন, “এ চলচ্চিত্রটিও দর্শক দারুণ পছন্দ করবেন। এ গল্পেই আগে একটি নাটক নির্মাণ করা হয়েছিল, তাতে আমিই ‘রেবতি’ চরিত্রটি করেছিলাম। এবার বড়পর্দায় ফিরছি চরিত্রটি নিয়ে।”


পরিচালক হোসনে মোবারক রুমি জানান, রাজশাহীর নওগাঁর আত্রাই নদীর তীরে শুটিংয়ের ক্যাম্প ফেলেছেন তিনি। কেননা নদী একটি বড় চরিত্র এ গল্পের। শুটিং চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

তার ভাষ্যে, “মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা, নির্মমতা দেখাতে চেয়েছি-তবে, যুদ্ধ না দেখিয়েই। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের প্রভাবটাও দেখা যাবে এ চলচ্চিত্রে। ”

চলচ্চিত্রটিতে আরও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন, দিলারা জামান, শাহেদ আলী সুজন, সমু চৌধুরী, প্রাণ রায় প্রমুখ।