ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত হয় ডান্স রিয়ালিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’। যেখানে নানান প্রতিযোগী তাদের নাচের মাধ্যমে নিজেদের জীবনের নানান দুঃখ-কষ্ট, জীবনের কিছু না পাওয়ার যন্ত্রণা, সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
এই বছর এ শো-এর বিচারকের আসনে রয়েছেন বলিউডের ডান্সিং স্টার গোবিন্দ, বাংলার সুপারস্টার নায়ক জিৎ এবং টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও প্রতিযোগীদের গুরু হিসেবে একদিকে দেখা যাচ্ছে টলিপাড়ার পরিচিত মুখ ওম সাহানি এবং দেবলীনা কুমারকে। অন্যদিকে দেখা যায় অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র এবং সৌমিলী বিশ্বাসকে।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর সঞ্চালনায় দায়িত্বে রয়েছেন অঙ্কুশ হাজরা ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। আর ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চেই দেখা গেলো টালিউডের জনপ্রিয় এই দুই অভিনেত্রীর যুগলবন্দী।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর ওই পর্বে দুই প্রতিযোগী অহনা এবং অহনার মা জনপ্রিয় বলিউড ছবি ‘বাজিরাও মস্তানি’র ‘পিঙ্গা’ গানে নেচে বিচারকদের মন জয় করে নেন। সেসময় জিৎ বিচারকের আসনে উপস্থিত দুই নায়িকা শ্রাবন্তী-শুভশ্রীকে ওই গানে নাচ করার জন্য অনুরোধ জানান।
সেই কথা মতোই ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে দেখা যায় দুই টলি অভিনেত্রীর সুন্দর ডান্স পারফম্যান্স। এসময় শুভশ্রীর পরনে ছিলো গোলাপি রঙের একটি গাউন এবং অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর পরনে ছিল সবুজ রঙের একটি আনারকলি সালোয়ার সুট।
তবে শ্রাবন্তী-শুভশ্রীর এই যুগলবন্দী মনে ধরেনি নেটিজেনদের। তাদের ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর তার মন্তব্যের ঘর ভরে গিয়েছে নেটিজেনদের কুরুচিকর মন্তব্য দিয়ে।
কেউ কেউ লিখেছেন, “এটা নাচ? এর থেকে আমাদের পাড়ায় দুর্গা পুজোর বিসর্জনের সময় ভালো নাচ হয়। জঘন্য একটা শো”। আবার কেউ লিখেছেন, “নাচ এটা? দুটো ডাব্বা ঘুরছে মনে হচ্ছে”।
অন্তর্জালে চিত্রনায়ক শাকিব খান ও সিয়াম আহমেদের খোশগল্পের ছবি ঘুরছে। এরপর একটি ভিডিও ভাইরাল হলো একই সময়ের। কিন্তু তাদের মধ্যকার গল্পের কোনও আলামত পাওয়া গেলো না অডিওতে। পুরো বিষয়টি বেশ রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
প্রথম কারণ ঢালিউড কিংকে ঠিক এমন খোশগল্পে মেতে থাকতে সচরাচর দেখা মেলে না। তাছাড়া শাকিবের সঙ্গে সিয়ামের যে খুব বেশি যোগাযোগ বা সখ্য রয়েছে, তেমনটাও নয়। তাহলে এই খোশগল্পের হেতু কী?
এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া শাকিবিয়ান আর সিয়ামিয়ানরা। সত্যি বলতে এই রহস্য উদঘাটনে যেন যুক্ত হলো পুরো মিডিয়া। কেউ বলছেন একসঙ্গে সিনেমা করতে যাচ্ছেন দুজনে। কেউবা বলছেন অগ্রজ শাকিব খান থেকে পরামর্শ নিতে গিয়েছেন অনুজ সিয়াম আহমেদ। কিন্তু সদুত্তর মিলছে না। কারণ শাকিব-সিয়াম দুপক্ষই চুপচাপ।
অবশেষে জানা গেলো এই খোশগল্প-রহস্য। সবাই জানেন, রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত আছেন শাকিব খান। এর আগে নিজের এই প্রতিষ্ঠানে তিনি যুক্ত করেছেন পরীমণি, অপু বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, পূজা চেরী, নাজিফা তুষি, দিঘী থেকে শুরু করে ছোটপর্দার সাবিলা নূর, তানজিন তিশা, সামিরা খান মাহির মতো তারকাদের। এবারই কোন পুরুষ তারকাকে এই প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি আর কেউ নন, ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদ। আর তাকে প্রতিষ্ঠানটিতে স্বাগত জানান শাকিব খান। যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেটি মূলত ওই সময়ের।
১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে সিয়াম প্রতিষ্ঠানটিতে চুক্তিবদ্ধ হন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও নায়ক মামনুন হাসান ইমন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এ সময় শাকিব খান বলেন, ‘সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি অথেনটিক পণ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে রিমার্ক-হারল্যান। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রচার ও প্রসারে সিয়ামের মতো একজন প্রতিভাবান শিল্পী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন বলে আমি আশা রাখি।’
অনুষ্ঠান শেষে সিয়াম বলেন, ‘দেশের মানুষকে নকল ও ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে রিমার্ক-হারল্যানের এই প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা।’
প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর পাকিস্তানে উর্দু ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খানের ‘তুফান’। শিগগিরই দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘দরদ’। অন্যদিকে সিয়াম আহমেদ মুক্তির মিছিলে আছেন ‘জংলী’ নিয়ে।
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের দীর্ঘদিনের সংসারে ফাটল ধরেছে, বেশ অনেক দিন ধরেই এমন জল্পনা বলিপাড়ায়। বিশেষ করে আম্বানিদের বিয়ের আসরে এই জুটি একসঙ্গে প্রবেশ না করায় জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়। দাম্পত্যে দূরত্বের কারণ স্পষ্ট নয় যদিও।
শোনা যাচ্ছিল, সংসারে বনিবনার অভাবেই দূরত্ব বেড়েছে তাদের মধ্যে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে নেটপাড়ায় ঘুরছে আরও একটি সম্ভাব্য তথ্য। ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের দাম্পত্যে নাকি তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটেছে।
শোনা যাচ্ছে, অভিষেকের জীবনে নাকি এসেছেন অন্য কেউ। অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই নাকি সংসারে অশান্তি। ‘দশভি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন অভিষেক ও নিমরত। এই ছবির শুটিং থেকেই মন দেওয়া নেওয়ার শুরু, এমন খবর বলিপাড়ায়।এ নিয়ে ঐশ্বরিয়া, অভিষেক বা নিমরত কেউই মুখ না খুললেও নেটপাড়ায় এই গুঞ্জন ভাইরাল। তবে এ কি স্রেফ গুঞ্জন নাকি সতত্যা রয়েছে তা সময়ই বলে দেবে। । আপাতত তাদের ঘনিষ্ঠদের মুখেও কুলুপ।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ‘উমরাও জান’ ছবির শুটিং থেকে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের প্রেমের শুরু। তার পরের বছরেই বিয়ের পিঁড়ীতে বসেন এই তারকা জুটি। ২০১১ সালে তাদের কোলে আসে প্রথম সন্তান, আরাধ্যা বচ্চন।
গত কয়েক মাস হল তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মেয়ে আরাধ্যাই হয়ে উঠেছে ঐশ্বরিয়ার সব সময়ের সঙ্গী। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে গোটা পরিবার নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু সেখানে ছিলেন না ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যা। অনেক পরে মা-মেয়ে একসঙ্গে বিয়ের আসরে যোগ দেন। এর পরে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেককে একাধিকবার আঙুলে বিয়ের আংটি ছাড়া দেখা গেছে। এই টুকরো টুকরো ঘটনাগুলিই বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে যেন।
১৯৯৯ সালে আত্মপ্রকাশ করে দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন মিডিয়া, এফএম রেডিও অনলাইন টিভি ও নিউজ পোর্টালে কর্মরত সক্রিয় সাংবাদিকদের সংগঠন, কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ-সিজেএফবি। এর ২৫তম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ২০২৪-২৫ মেয়াদি নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংগঠনটির নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে এসএটিভির বার্তা সম্পাদক এনাম সরকারকে আর দৈনিক আজকের পত্রিকার বিনোদন বিভাগীয় প্রধান এম এস রানা হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন এটিএন বাংলার এ্যডিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুজ্জামান মাসুম এবং দৈনিক সমকালের সাব এডিটর রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ।
কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা পদে রয়েছেন রেডিও আমার-এর হেড অব প্রোগ্রাম তামিম হাসান। উপদেষ্টা পদে আছেন দৈনিক খবরের কাগজ-এর ফিচার সম্পাদক খালেদ আহমেদ এবং প্রবাস টিভি-কানাডার বার্তা সম্পাদক দীন ইসলাম। যুগ্ম সম্পাদক দৈনিক নয়া দিগন্ত’র সাব এডিটর ও ঢাকা মেইলের জয়েন্ট নিউজ এডিটর আলমগীর কবির এবং এসএটিভি’র ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবস্থাপক শাকিলুর রহমান।
সাংগঠনিক সম্পাদক- জাহিদ শাওন, নির্বাহী সম্পাদক পাক্ষিক আনন্দ লহরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- শারমিন জাহান, সম্পাদক, ডেইলি নিউজিয়াম.কম, প্রচার সম্পাদক- মীর নাসিফ আক্তার শুভ, নিউজরুম এডিটর যমুনা টিভি, দফতর সম্পাদক- এমদাদুল হক মিল্টন, সাব এডিটর দৈনিক সমকাল, সাহিত্য সম্পাদক- নাজমুল আহসান তালুকদার, নিউজ রুম এডিটর, বাংলানিউজ টুয়েনটিফোর . কম, ক্রীড়া সম্পাদক- সানজানা আইভী, স্টাফ করসপনটেন্ড, যমুনা টিভি, অর্থ সম্পাদক- মেহনাজ পারভীন, আর্টিকেল নাইনটিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- বিশাল চৌধুরী শামিম, স্টাফ করসপনটেন্ড, রেডিও আমার। নির্বাহী সদস্য- মুজাহিদ সামিউল্লাহ- দৈনিক মানবজমিন, মাহবুব হাসান জ্যোতি- নাগরিক টিভি, ,অমলেন্দু চক্রবর্তী, দৈনিক ইত্তেফাক, জাহাঙ্গীর বিপ্লব- দৈনিক বাংলা, শেখ আরিফ বুলবন- ডেইলি নিউ ন্যাশন, সুমন মোস্তাফা- রুপালি বাংলাদেশ , মৃণাল কুমার বন্দে- দেশকন্ঠ নিউজ, তন্ময় কুমার রায়-এখন টিভি।
গত ১৭ অক্টোবর ২০২৪ সিজেএফবি’র গুলশান কার্যলয়ে কার্য নির্বাহী কমটির সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সিজেএফবি’র নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একেবারেই নিরবে নিভৃতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ‘কি ছিলে আমার, বলো না তুমি’খ্যাত গায়ক মনি কিশোর। এই শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার টিমে ছিলেন রামপুরা থানার এসআই জুবায়ের রহমান।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা উনার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পাই। এরপর বাড়িওয়ালা আর এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে উনার বাসায় গিয়ে মরদেহ পাই। এখনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। তাই স্পষ্ট করে উনার মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে মরদেহ থেকে যে ধরনের গন্ধ ছড়াচ্ছিল তা দেখে ধারণা করতে পারি, উনি কয়েকদিন আগেই মারা গেছেন। যেহেতু একা থাকতেন বাসায়, তাই হয়তো কেউ টের পায়নি যে উনি মারা গেছেন। তবে আমরা তার শরীরে কোন আঘাত বা আত্মহত্যার কোন লক্ষন পাইনি। ধারণা করছি, অসুস্থতা থেকেই উনি মারা গিয়েছেন।’
নব্বই দশক থেকেই গান গেয়ে শ্রোতার মন জয় করেছেন মনি কিশোর। শুধু ‘কী ছিলে আমার, বলো না তুমি’নয়, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় গানের শিল্পী মনি কিশোর। অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন এক সময়। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। অনেকটা অভিমান থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। শেষ দিকে তো এমনও হয়েছে, কেউ যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, নিজের ব্যবহৃত পুরোনো মুঠোফোন নম্বর বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
রামপুরা টেলিভিশন ভবনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একা থাকতেন। গতকাল শনিবার রাতে চিরদিনের জন্য তার শেষ পৃথিবী ভ্রমণের খবর পাওয়া যায়। মারা যাওয়ার পর মরদেহ কী করতে হবে, তা বলে গিয়েছিলেন একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে। নব্বই দশকের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময়ই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানালেন ভাই অশোক কুমার।
তিনি জানালেন, মনি কিশোর বেঁচে থাকা অবস্থায় তার দাফনের বিষয়টি একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে জানিয়েছিলেন। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেখানেই মরদেহ দাফন করা হবে। মেয়ে শুধু এটুকু বলেছে, ওর বাবাকে যেখানে কবর দেওয়া হচ্ছে, সেখানে যেন একটা চিহ্ন রাখা হয়।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘চার্মিং বউ’ অ্যালবামের ‘কী ছিলে আমার’ গানটি মনি কিশোরকে ব্যাপক পরিচিত করে দেয় সংগীতাঙ্গনে। একে একে ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম করে ফেলেন। তারপর একসময় অডিও জগৎ নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে থাকল। একটা সময় মনি কিশোরের আর নিয়মিত দেখা মেলেনি।
তবে চলতি বছর এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি আবারও গান করছেন। এমনকি পুরোনো গানগুলো ইউটিউবে দিচ্ছেন পর্যায়ক্রমে। জনপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ নতুন করে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ভাষ্য ছিল, এ প্রজন্মের শ্রোতারা গানটি শুনেছেন। ইউটিউবে প্রচুর ভিউ। স্টেজে গেয়ে থাকেন তরুণেরা। কিন্তু গানের মূল গায়ককে তারা চেনেন না। গানটির সুরকার ও গীতিকার কে, তা জানেন না। এ রকম জায়গা থেকে ভেবেছেন, এ প্রজন্মের কাছেও গানটি পরিচিত হোক। তাদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। এ ছাড়া আলাদা করে দেড় শ গান তৈরি করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘গানগুলো আমার জীবদ্দশায় প্রকাশ করতে চাই না। কিছু গান মৃত্যুর পরও প্রকাশ পাবে।’ মনি কিশোর তার এই গানগুলো প্রকাশের আগেই চলে গেলেন অনন্তযাত্রায়। এই শিল্পী যেমনটি চেয়েছিলেন, হয়তোবা সেই ইচ্ছা পূরণ করবে তার পরিবার। তার তৈরি হওয়া গানগুলো হয়তোবা সামনে প্রকাশিত হবে।
মনি কিশোরের প্রকৃত নাম অরুণ কুমার মণ্ডল। পুলিশ কর্মকর্তা বাবা অনিল কুমার মণ্ডলের ছেলে অরুণ কুমার মণ্ডল ছিলেন কিশোর কুমারের ভক্ত। ডাকনাম ছিল মনি। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় মনি মজা করে বলেছিলেন, ‘কুমার শানু নিয়েছেন “ওস্তাদের” নামের একাংশ। আমি নিয়েছি তার নামের আরেক অংশ।’