হাসপাতাল থেকে ফেসবুক লাইভে কবীর সুমন

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কবীর সুমন

কবীর সুমন

তীব্র শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কারণে ২৭ জুন রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কবীর সুমনকে। এরপর বর্ষীয়ান এই শিল্পী করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানতে আরটিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

আজ বিশ্ব চিকিৎসক দিবস। বিশেষ এই দিনটিতে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাতে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন কবীর সুমন। চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও ভক্তদের জানিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।

বিজ্ঞাপন

কবীর সুমন জানান, ‘আগে কী হয়েছিল একটু ছোট করে জেনে নিন। আগেই একটু ঠাণ্ডা লেগেছিল। কিন্তু রোববার (২৭ জুন) যেটা হলো, কোনোভাবেই ঢোক গিলতে পারছি না। অসম্ভব ব্যথা গলায়। অন্য কোনও সমস্যা নেই। একদমই ঢোক গিলতে পারছিলাম না; খাবার খাওয়া তো দূরের কথা। কেমন একটা কেলেঙ্কারি অবস্থা! এরপর প্রফেসর সৌমিত্র ঘোষের সঙ্গে কথা হয়। তিনি চমৎকারভাবে বলেন, স্যার হাসপাতালে চলে আসুন।’

খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পী আরও জানান, “হাসপাতালে আসার পরই চিকিৎসকরা আমার ঢোক গিলতে না পারার সমস্যাটি সমাধান করেন। যার ফলে গেত তিন দিন ধরে অনেকটা সুস্থ আছি।”


যোগ করে তিনি বলেন, ‘আমি দ্রুত সেরে উঠছি। শুনতেই পারছেন পাশে তানপুরা বাজছে। আমি যখন পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবো তখন পুরো সুর লাগাতে পারবো। হাসপাতালে আজ সকালেই আমি গুনগুন করে ভৈরবী-ভৈরব, ভাটিয়ালি গাইছিলাম। রাগ প্রতিমা বেঁধেছি। এর মধ্যে রাগ প্রতিমা আমার নতুন সৃষ্টি।’

নিজের শারীরিক অবস্থা জানানোর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারে প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলা খেয়াল আমার গাইতেই হবে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা থাকবে যদি মমতা থাকে। আমি যে গাইছি, রাগ তৈরি করছি এর কৃতিত্ব মমতার। বাংলা গান বা সংস্কৃতির এই চর্চা হচ্ছে মমতার জন্যই। আমরা তো হিন্দুস্তানি সংগীতের লোক। আমাদের কাছে ঈশ্বর, আল্লাহর চেয়ে গুরু বড়। আমাদের গুরুরা যে শিক্ষা দিয়েছে সেটাই চর্চা করি। এটাই আমাদের এক ধরনের হজ। দীর্ঘ জার্নি।’

কবীর সুমন ও মমতা ব্যানার্জী

১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ নামের একটি গানের অ্যালবাম করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকেই গ্রহণ করে বাঙালি। গ্রহণ করেছে দুই বাংলার শ্রোতারা। সেই থেকে অব্যাহত তার সংগীতের চলার পথ। একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন নিজের মতো করে। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনে দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে।

তারপর যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরে তৃণমূল ছাড়েন।


কবীর সুমনের পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন।

জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ। এখন তার বয়স ৭১ বছর।