মুম্বাইয়ে করোনাভাইরের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বেঙ্গালুরুতে বাবা-মায়ের কাছে গিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। সেখানে গিয়েই সপরিবারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। শুধুমাত্র নেগেটিভ এসেছিলো রণবীর সিংয়ের করোনা টেস্টের রিপোর্ট।
তবে দীপিকা ভক্তদের জন্য সুখবর। করোনা মুক্ত হয়ে শনিবার (২৩ মে) মুম্বাই ফিরেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এদিন স্বামীর হাতে হাতে রেখে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেখা গেছে করোনাজয়ী দীপিকাকে।
বিজ্ঞাপন
এসময় কালো পোশাকে দেখা যায় এই তারকা দম্পতিকে। দু’জনেরই মুখ মাস্কে ঢাকা ছিলো। চোখে ছিলো সানগ্লাস।
দীপিকার হাতে এই মুহূর্তে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ছবির কাজ। যদিও বর্তমানে করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে শুটিং। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কাজে যোগ দেবেন দীপিকা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে রণবীর-দীপিকার ‘৮৩’ ও।
অনেকেই জানেন, সম্প্রতি শুটিং সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। এ যাত্রায় তাকে আইসিইউতে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। তবে এখন তিনি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। আর সুস্থ হয়েই ভক্তদের দিলেন দারুণ খবর।
মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় তার অভিনীত ‘সুইট ফ্যামিলি’ নাটকটি বছরের প্রথমদিন মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলেছে। সুলতান এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ‘সুইট ফ্যামিলি’ নাটকটি মুক্তির দুই সপ্তাহের এক কোটি ভিউয়ের রেকর্ড গড়েছে। বলা যায়, নতুন বছরের প্রথম নাটকেই বাজিমাত করলেন ফারহান। এই নাটকে তার বিপরীতে আছেন স্পর্শিয়া।
মুশফিক আর ফারহান বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে নাটক ইন্ডাস্ট্রি কাজের সংখ্যা কিছুটা কমে গিয়েছিল। তার কারণ আমার মনে হয়, দর্শক দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা চিন্তিত ছিলেন কমবেশি। সেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও কাজের গতি ফিরে এসেছে। দর্শকেরা আবারও নাটক দেখছেন। তাদের ভালোলাগা-খারাপ লাগা শেয়ার করেছেন। সবমিলিয়ে এমন সময়ে তাও নতুন বছরে শুরুতেই ‘সুইট ফ্যামিলি’ নাকটটি অল্প সময়ে ১ কোটি ভিউ অতিক্রম করেছেন।’
অভিনেতা আরও যুক্ত করেছেন, ‘এটা সত্যি ভালোলার আমার জন্য। সামনে ভালোবাসা দিবসের কাজগুলো করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি দর্শকদের এই রেসপন্সের মাধ্যমে।আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সবসময়ই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসছি আমার নাটকের ভক্তদের। কারণ আমি তাদের কারণেই আজকের ফারহান হতে পেরেছি। তাদের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখেই কিন্তু প্রতিটি নাটকের গল্প নির্বাচন করি।এই নাটকটিও তেমন একটি কাজ আমার। আমি বেঁচে বেঁচে কাজ করার চেষ্টা করি কিন্তু যাই করি ঠিকঠাক করতে চাই, যেন আমার কাজটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকের মধ্যে ভালো লাগায় রূপান্তর হয়।’
মুশফিক আর ফারহান গল্পের প্রয়োজনে নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙা-গড়ার মধ্যে রাখছেন। প্রতিটি নাটকে নিজেকে ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করছেন। আর অনবদ্য অভিনয়ে কেড়ে নিচ্ছেন দর্শকের মন। কখনো সুইপার, কখনো বাকপ্রতিবন্ধী প্রেমিক আবার কখনো লেগুনা চালক, কখনো পিচাশ, কখনো ভালো হাজবেন্ড হয়ে পর্দা মাতাচ্ছেন এই তারকা।
গত বুধবার রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলা হয়। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতকারী। এই হামলায় গুরুতর আহত হন অভিনেতা। ঘটনার তিন দিন পর এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মুম্বাই পুলিশের ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক।
সংবাদ সম্মেলন করে মুম্বাই পুলিশ জানায়, বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আজ সকালে বান্দ্রা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিনেতার বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের কাসারভাদাভালিতে হিরানন্দানি এস্টেট এলাকা থেকে রোববার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তিনি নিজেকে বর্তমানে বিজয় দাস হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ৫-৬ মাস আগে মুম্বাই আসেন তিনি। কিছুদিন মুম্বাইয়ে ছিলেন, তারপর মুম্বাইয়ের আশপাশে ছিলেন। অভিযুক্ত একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন।’
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তর কাজ থেকে মিলেছে ভুয়ো নথিপত্র। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পরিচয় দেখাতে পারেননি তিনি। সংবাদ সম্মেলনে দীক্ষিত গেদাম আরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে চালান করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবেন তারা। হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলমান থাকবে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়েই সাইফ-কারিনার বাড়িতে ঢুকেছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশকর্তা জানান, প্রথমবারই বান্দ্রার ওই বহুতলে প্রবেশ করেন ওই ব্যক্তি।
বান্দ্রার ‘সতগুরু শরণ’ ভবনের ১২ তলায় থাকেন অভিনেতা। পুলিশ জানিয়েছে, সাইফ আলী খান, তার স্ত্রী কারিনা কাপুর, তাদের দুই ছেলে চার বছরের জেহ ও আট বছর বয়সী তৈমুর ওই বাড়িতে থাকে। এ ছাড়া বাড়িতে থাকেন তাঁদের পাঁচ গৃহকর্মী। হামলার পর সাইফ অটো করে লীলাবতি হাসপাতালে পৌঁছান। রক্তভেজা সাইফকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল তৈমুর। হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন সাইফ।
লীলাবতি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর এক দিন আইসিইউতে রাখা হয়েছিল সাইফকে। এখন সাধারণ বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিনেতা বিপদমুক্ত। দু-এক দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন সাইফ।
’ফুল নেয়া ভাল নয় মেয়ে/ ফুল নিলে ফুল দিতে হয়/ফুলের মতন প্রাণ দিতে হয়…’– লাইনগুলো পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ’হলুদ বরণী’ কাব্যগ্রন্থের 'ফুল নেয়া ভালো নয়' কবিতার। পংক্তিতে এবার সুর বসেছে, তৈরি হয়েছে গান। কবিতার নামেই রাখা হয়েছের গানের শিরোনাম। আর গানটি গেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতপরিচালক ইমন চৌধুরী।
‘ফুল নেয়া ভাল নয়' গানটির সুর, সংগীতায়োজনও করেছেন ইমন চৌধুরী। আর এই গানটির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করল ইমন চৌধুরীর গানের দল ’বেঙ্গল সিম্ফোনি’। গতকাল ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গানটি প্রকাশ পেয়েছে অন্তর্জালে।
পল্লীকবির পরিবারের অনুমতি নিয়েই তার কবিতা থেকে গানটি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইমন চৌধুরী। তিনি জানান, 'বেঙ্গল সিম্ফোনি' থেকে এখন নিয়মিতই গান পাবেন শ্রোতারা। ইমন চৌধুরী বলেন, "গত দেড় বছর আমরা ২৫ থেকে ৩০ জন একসঙ্গে গান–বাজনা করছিলাম। সবাই মিলে তৈরি করেছি 'বেঙ্গল সিম্ফোনি' টিম। আমাদের মূল স্বপ্ন বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করা।'
ইমন চৌধুরী মনে করেন, তাদের শুরুটা হয়েছে খুব মিষ্টি আয়োজনে। আগামীতে আরও সুন্দর গান অপেক্ষা করছে।
গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন কনক খন্দকার কক্সবাজারে হয়েছে গানের মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যধারণ। এর আগে তিনি ’লটারি’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এবারই প্রথম নির্মাণ করলেন মিউজিক ভিডিও। কনক বলেন, ’ইমন চৌধুরীকে আমি একজন মিউজিশিয়ান হিসেবে খুবই পছন্দ করি আবার মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ। কাজটি করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। গানটি যেহেতু পল্লীকবির কবিতা থেকে করা হয়েছে, তাই একটা সহজ–সুন্দর নির্মাণের চেষ্টা করেছি।
ইমন চৌধুরী 'সাদা সাদা কালা কালা (হাওয়া)', ৮টা বাজে দেরি করিস না ((হাওয়া) 'ধীরে ধীরে (পরাণ)', 'ঘোমটা খুলে বদন তুলে (গুণিন)', 'টেকা পাখি (দুই দিনের দুনিয়া)', 'তোর সাথে নামলাম রে পথে (পাপ পুণ্য)' গানগুলোর সঙ্গে যুক্ত এবং এগুলো ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজের বাইরে ইমন চৌধুরী কোক স্টুডিও বাংলার জন্য একটি গানের সংগীতায়োজন করেছেন। ‘কথা কইয়ো না’ শিরোনামের সেই গানটিও পেয়েছে শ্রোতাপ্রিয়তা।
বান্ধবী ধারাল সুরেলিয়ার সঙ্গে বিয়েল পিঁড়িতে বসেছেন ভারতের জনপ্রিয় গায়ক দর্শন রাভাল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিয়ের খবরটি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে বিয়ের খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি। দর্শন একাধারে গায়ক, সুরকার এবং গীতিকার।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে দর্শন ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমার আজীবনের সেরা বন্ধু’। যেখানে স্ত্রীর সঙ্গে হাস্যজ্জল মুখে দেখা মিলেছে তার।
ফেসবুক বিয়ের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘My best friend forever'।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দর্শনের স্ত্রী একজন আর্কিটেক্ট। সে একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার পাশাপাশি উদ্যেক্তা।
গায়কের বিয়ের খবরে ভক্তরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকেই অবশ্য অবাকও হয়েছেন। কারণ হুট করেই বান্ধবীকে বিয়ের খবর জানিয়েছেন দর্শন।
দর্শন রাভাল ভারতের জনপ্রিয় গায়ক। তার গাওয়া গানগুলো ‘তুম হি আনা,’ ‘রাতই রহে,’ ‘ভুল জানা’ ইত্যাদি গোটা ভারতে বেশ জনপ্রিয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দর্শন কর্মজীবন শুরু করেন। রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়াস র স্টার-এ অংশগ্রহণ করে প্রথম রানার আপ খেতাব পান। ২০২৩ সাল পর্যন্ত, তিনি হিন্দি, গুজরাটি এবং তেলুগুসহ বিভিন্ন ভাষায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান প্রকাশ করেছেন।