মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের মুকুট জিতলেন মিথিলা
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২০’ প্রতিযোগিতার তকমা জিতলেন তানজিয়া জামান মিথিলা। শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে এই সুন্দরীকে মুকুট পরিয়ে দেন বলিউড অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং।
আগামী ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের হলিউডে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিথিলা। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার প্রধান রফিকুল ইসলাম ডিউক এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রথম রানারআপ হয়েছেন ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। দ্বিতীয় রানারআপের স্বীকৃতি পেয়েছেন ফারজানা আকতার এ্যানি। এছাড়া বিশেষ যোগ্যতা অনুযায়ী পাঁচটি ভিন্ন বিভাগে মনোনীত হন পাঁচ প্রতিযোগী। তাঁরা হলেন মিস কনজেনিয়ালিটি ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা, মিস শাইনিং স্টার আপোনা চাকমা, মিস ফোটোজেনিক নিদ্রা দে, মিস বডি বিউটিফুল তানজিয়া জামান মিথিলা এবং মিস ট্যালেন্টেড নির্বাচিত হন তৌহিদা তাসনিম তিফা।
চূড়ান্ত আসরে ১০ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন অঙ্কিতা দে, ফারজানা আকতার এ্যানি, ফারজানা ইয়াসমিন, মারিয়াম আহমেদ এবং তানজিয়া জামান মিথিলা। এরপর সেরা তিনজনকে নির্বাচন করেন বিচারকরা।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারকের আসনে ছিলেন সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান রহমান খান, মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, প্রাসাদ বিদাপা (ভারত), মেহরুজ মুনির, আইরিন সমার তিলগার, গৌতম সাহা, রিয়াজ ইসলাম, সারা সুলেমান। বিশেষ বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব উপস্থাপনা করেন কাজী সাব্বির। অনুষ্ঠানে ছিলেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ডিউক, ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম এবং আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান।
প্রতিযোগিতার এবারের মূল স্লোগান ছিল ‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’। দেশ ও দেশের বাইরের বাংলাদেশি মিলিয়ে ৯ হাজার ২৫৬ জনেরও বেশি তরুণী এতে অংশগ্রহণ করেন। গত জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পরে অডিশনের জন্য ডাক পান ৫০০ জন প্রতিযোগী। অডিশন পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড ২০১৮ প্রিয়তা ইফতেখার, ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমিন, আইস টুডের ফ্যাশন এডিটর গৌতম সাহা এবং মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯-এর প্রথম রানারআপ আলিশা ইসলাম।
অডিশন পর্বে প্রতিযোগীদের সৌন্দর্য, শিক্ষা, প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তাসহ আরও বিভিন্ন যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ৫০ জন বাছাই করা হয়। সেখান থেকে সেরা ২০ সুন্দরীকে নিয়ে চলে গ্রুমিং সেশন। সেখান থেকে সেরা ১০ জন নির্বাচন করা হয়।