মিস বাগদাদকে গুলি করে হত্যা
তারা ফারেস।
সাবেক মিস বাগদাদ ও মিস ইরাক রানার আপ।
মডেল হিসেবে কাজ করতেন তারা ফারেস।
ইনস্টাগ্রামেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।
কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রাণ হারাতে হলো তাকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাগদাদের ক্যাম্প সারাহ এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করেছে একদল দুষ্কৃতি।
পর পর তিনটি গুলি করা হয়েছে তারাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরানের স্বরাষ্ট্র-দফতরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল সাদ মান জানিয়েছেন-
হামলার সময় ফারেস গাড়ির ভেতরে ছিলেন। দু’জন মোটরসাইকেল আরোহী তাকে গুলি করে চলে যায়।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম হুররিয়াত ডেলি জানিয়েছে,
তারা ফারেসের মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যায়, তিনটি গুলি করা হয়েছে তাকে। তার হত্যাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এর আগে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট তাকে হুমকি দিয়েছিলো বলেও জানানো হয়।
গত মাসেও ইরাকে দু’জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের একজন রাফি আল ইয়াসেরি। তিনি ‘ইরাকের বার্বি’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। আগস্টের ১৩ তারিখে তাকে তার বাসভবনের ভেতরে হত্যা করা হয়।
মাত্র কয়েক দিন আগে বসরায় ইরাকের মানবাধিকার কর্মী সুয়াদ আল আলিকেও হত্যা করা হয়। গাড়িতে বসে থাকা অবস্থাতেই তাকে আততায়ীরা গুলি করে। হত্যার এই ধারাবাহিকতা ও তারার মৃত্যুতে একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘এই বৃহস্পতিবার তারা, পরের বৃহস্পতিবারে কে?’
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তারার বাবা ইরাকি ও মা লেবানিজ।
ফারেস কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলের এরবিলে থাকতেন।
বাগদাদে যেতেন কখনও কখনও।
তিনি ২০১৪ সালে মিস বাগদাদ ও ২০১৫ সালে মিস ইরাক রানার আপ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ দিকে তারা ফারেসের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
কেন কেউ নিজের ইচ্ছেমতো বাঁচতে চাইলেই তাকে খুন হতে হবে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। তারার হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন কেউ কেউ।