ফিটনেস কোচ নুপুর শিখারের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া চলছে ইরা খানের। দীর্ঘদিন ধরেই এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো বলিউড মহলে। তবে নুপুর-ইরা কেউই তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছিলো প্রমিজ ডে। সে দিনটিতেই ভালোবাসার সম্পর্কের এক মাস পূর্ণ করেছেন নুপুর-ইরা। সেদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি শেয়ার করে প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন আমির কন্যা।
বিজ্ঞাপন
নিজেদের আদুরে ছবি শেয়ার করে ইরা ক্যাপশনে লিখেছেন, “তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমি নিজে সম্মানিত বোধ করছি।” সেই সঙ্গে নুপুরকে নিজের ‘ড্রিমবয়’ বলে সম্বোধন করেছেন ইরা।
প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা রাখঢাক করেন না ইরা খান। কেননা মিশাল কৃপালানির সঙ্গে যখন ইরার মন দেওয়া-নেওয়া চলছিলো সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সম্পর্কের ইতি টানেন ইরা-মিশাল। এরপর পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ইরা।
‘সবার জন্য ফ্যাশন’ প্রতিপাদ্যে তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে হয়ে গেলো আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসর। চার দিনের এই আয়োজন শেষ হয়েছে গত ১৯ জানুয়ারি।
আর সেই সমাপনী দিনেই শো স্টপার হিসেবে র্যাম্পের মঞ্চ আলোকিত করলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী রুনা খান।
রুনা খান প্রতিনিয়ত নিজের ফ্যাশনকে ছাড়িয়ে নতুন দিগন্ত ছুঁয়ে যাচ্ছেন যেন। আর্কার এই লুকটিও ছিলো তেমন। এমন লুকে আগে কখনোই তাকে দেখা যায়নি। কারণ, আর্কা ফ্যাশন উইক মূলত তরুণ প্রজন্মের রাখঢাকহীন ফ্যাশনের জন্য আলাদাভাবে পরিচিতি পেয়েছে। এমনকি এবারের আসরে দর্শকদের স্ট্রিট ফ্যাশন শো’ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ চর্চায় এসেছে।
রুনা খান আর্কা ফ্যাশন উইকের মঞ্চে ওঠেন তরুণ নারী ফ্যাশন ডিজাইনার তানহা শেখের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘তান’-এর এক্সক্লুসিভ কালেকশন গায়ে জড়িয়ে। নেভি ব্লু রঙের ভিন্ন কাটিং প্যাটার্নের অফ সোল্ডার শর্ট গাউনটিতে রুনাকে একেবারেই অন্য রকম লাগছিলো। এদিন তার মেকাপ করেছে এলিগেন্ট লুক বাই সামিনা সারা। র্যাম্প কোরিওগ্রাফি করেছেন আজরা মাহমুদ।
এই শোতে হাটা নিয়ে রুনা খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি মনে করি শিল্পীদের হতে হয় সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বয়স, স্থান ও কালের। তাই আমি আর্কা ফ্যাশন উইকে একেবারে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছি। আমাকে যখন ডিজাইনার তানহা এই শোটির জন্য অ্যাপ্রোচ করেছিলো, আমি তা সানন্দে গ্রহণ করি। কারণ, তারা একেবারেই নতুন প্রজন্মকে রিপ্রেজেন্ট করে। আমি তাদের সঙ্গেই পথ চলতে চাই। তরুণদের সঙ্গে সময় কাটানো মানে নিজেকে আরও বেশি সতেজ করে তোলা। তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের ডিজাইনারদের মধ্যে আমার কাছে যে দুই তিনজন ডিজাইনারকে সবচেয়ে ভালো লাগে তারমধ্যে তানহা একজন। সবমিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিলো।’
মিলেনিয়াল, জেন জি ও জেন আলফা-ফ্যাশনপ্রেমী নানা বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছিলো এবারের আর্কা ফ্যাশন উইক। জমজমাট ছিল আয়োজনের মার্কেটপ্লেস, ডিজাইন ল্যাব ও ফুড জোন। দিনব্যাপী চলেছে রিকশা পেইন্টিং, কাঁথা স্টিচ ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টারক্লাস। এছাড়া ছিল জমকালো ফ্যাশন শো।
নতুন ডিজাইনারদের পোশাকে দেখা গেছে টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান। সৃজনশীল নবাগত ডিজাইনাররা পশ্চিমা পোশাকে ব্যবহার করেছেন ডেনিম, লেদার, গামছা প্রিন্ট, কাপড়ের পুতুল, বেনারসি ও পাট।
দর্শনার্থীদেও পোশাকেও দেখা গিয়েছে ভিন্নতা। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গতানুগতিক ধারার বাইরে কেউ শাড়ি পরেছে কুঁচি ছাড়া পেঁচিয়ে, কেউ ব্লাউজের পরিবর্তে পরেছে শার্ট, টপ বা জ্যাকেট, কেউবা দেশি শাড়ির সঙ্গে পরেছে পশ্চিমা ধাঁচের গয়না। শাড়িতে কিছুটা ভিন্নতা যোগ করতে শাড়ির সঙ্গে লেদার, মেটাল, কড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বেল্ট পরেছেন অনেকে। কয়েকজন পুরুষ দর্শনার্থীকে দেখা যায় প্যান্ট ও জ্যাকেটের সঙ্গে শাড়ি পরতে। এ ছাড়া মাথায় ব্যান্ডানা পরেছেন কেউ কেউ। দর্শনার্থীদের পোশাকে বোহেমিয়ানের দেখা মিলেছে আজ। সোশ্যাল মিডিয়ার ভোটের মাধ্যমে এই অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ঘোষণা করা হয় বিজয়ী।
গতকাল ১৯ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত রিয়েল লিংকি মিউজিক চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড শোতে টিভি অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।
তার একদিন পর অর্থাৎ আজ সোমবার দুপুরে ওই অ্যাওয়ার্ড শো-এর সাজের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সেই পোস্টে তিনি মনে করিয়ে দিলেন যে, সব ধরণের কাজের জন্য তিনি সেরা ও যোগ্য।
আশনা হাবিব ভাবনা লিখেন, নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি আমি যোগ্য। আমি যোগ্য, সেরাটা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত। এটি আমার ব্যক্তিগত নীতি যা আমি প্রতিদিন সকালে অভিনয়ের আগে নিজেকে বলি।’
মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম নাটকে অভিনয় শুরু করেন আশনা হাবিব ভাবনা। ‘আমাদের নুরুল হুদা’ নামের সেই নাটকটিই ছিল তার প্রথম টিভি নাটক। এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মাঝে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন।
‘ভয়ংকর সুন্দর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন ভাবনা। এরপর ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, ‘যাপিত জীবন’ (নির্মাণাধীন), ‘দামপাড়া’ (মুক্তির অপেক্ষায়), ‘পায়েল’ (নির্মাণাধীন) ছবিতে অভিনয় করেন।
তার একেবারেই ভিন্ন দুটি রূপ। রেসলিং-এর ময়দানে তিনি রাজা, তিনি বিদ্ধংসী! আর পরিবারে তিনি একেবারেই সাদামাটা একজন বাবা। যিনি তার কন্যাদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠতে ভালোবাসেন। কথা হচ্ছে হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ও রেসলিং জগতের ‘দ্য রক’খ্যাত ডোয়াইন জনসনকে নিয়ে। এই তারকা প্রায়ই তার ব্যক্তিজীবনের নানা মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগাভাগি করে নেন অজস্র ভক্ত অনুরাগীর সঙ্গে।
গতকাল (১৯ জানুয়ারি) সকালে তেমনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ডোয়াইন। আর তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ পর্যন্ত তার সেই ভিডিওটি দেখেছে ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ। মন্তব্য এসেছে প্রায় ৫০ হাজার আর ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে ৪২ হাজার।
কিন্তু কী এমন আছে এই ভিডিওতে, যা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছেন নেটিজেন? যারা দেখেননি তাদের জন্য বলা, বডি বিল্ডার এই তারকা দুটি পিচ্চি মেয়ের হাতে পরাস্ত হয়েছেন!
আর সেই মেয়ে দুটি তারই নিজের সন্তান। পৃথিবীর চোখে তিনি ‘দ্য রক’ হলেও মেয়েদের চোখে যে তিনি নিতান্তই একজন সাধারণ বাবা সে কথাই প্রমাণ হয়েছে এই ভিডিওটিতে। বাবাকে তারা পিচ্চি দুটি বোন মনের মতো করে সাজিয়েছেন মেকাপ দিয়ে! আর তা দেখেই কেউ হয়েছেন অবাক, কেউ হেসে কুটি কুটি, কেউবা আবার ভালোবাসার ছোঁয়ায় সিক্ত।
ভিডিওর ক্যাপশনে ডোয়াইন জনসন লিখেছেন, ‘‘আমার দুটি ‘টর্নেডো’ দিয়ে কি শুরু হয়েছিল দেখুন। জ্যাজি এবং টিয়া জিজ্ঞাসা করেছিলো, ‘বাবা আমরা কি তোমার চোখের ওপর একটু আইস্যাডো লাগাতে পারি?’, এবং আমি বলছি, ‘হ্যাঁ, কিন্তু দ্রুত করে দাও কারণ আমাকে জিমে যেতে হবে’।’’
অনুমতি পেয়েই যেন মেয়ে দুটি নিজেদের সব ক্রিয়েটিটি দেখিয়েছে বাবার সারা মুখ, কপাল, ঘাড়, গলা এমনকি বাদ যায়নি চুলবিহীন মাথা পর্যন্ত! লিপস্টিক, আইস্যাডো, ব্লাসন সব কিছু দিয়ে বাবাকে তারা মনের মতো সাজিয়েছে।
এই কাণ্ডতে ডোয়াইন যে একটুও বিরক্ত নন, বরং তার মজাই লেগেছে তা জানিয়েছেন ফুট নোটে। তার ভাষ্য, ‘আমি জানি তারা সবসময় ছোট থাকবে না, বড় হলে বাবার সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করবে না, কিন্তু তারা সবসময় আমার বাচ্চা মেয়ে হয়েই থাকবে আমার কাছে। তাই আমি এখন তাদের সাথে যতোটা সময় কাটাতে পারি ততোই নিজেকে সার্থক মনে হয়।’
এদিকে সম্প্রতি ডোয়াইনের ক্যরিয়ারে একটি বিশেষ প্রাপ্তি যোগ হয়েছে। সে সম্পর্কে তিনি আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার তিন মেয়ে থাকার পাশাপাশি আমার সামোয়ান হাই চিফ পদবী ‘হাই চিফ সিউলি’ আমার জীবনের অন্যতম সম্মান। আমি ২০ বছর আগে উচ্চপ্রধান মালেটোয়া টুনামাফিলি এবং আমাদের সামোয়ার লোকদের প্রতি একটি অঙ্গীকার করেছিলাম যে, আমি আমার ছেলেসুলভ পথকে পিছনে ফেলে কালো সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে নিয়ে যাবো সম্মান, গর্ব, উদারতা, নম্রতা এবং যোদ্ধা আত্মার সঙ্গে।’
গত বুধবার বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতকারী। তাদের হামলায় গুরুতর আহত হন অভিনেতা। অস্ত্রোপচারের পর সাইফ এখন আছেন মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই ঘটনার পর এবার আলোচনায় সাইফের বোন অভিনেত্রী সোহা আলী খানের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীর হানা দেওয়ার ঘটনা। সম্প্রতি সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন সোহা।
যদিও ঘটনাটি অতি সম্প্রতি ঘটেনি। ২০১১ সালে সোহা এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। মুম্বাইয়ের খারে সোহার অ্যাপার্টমেন্টে ঘটনাটি ঘটেছিল। সেদিন ছিল কুনাল খেমু ও সোহার ছবির বিশেষ প্রদর্শনী।
দুজনেই সেখানে গিয়েছিলেন। কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন দুজন। এরপর এই তারকা দম্পতি রাতের খাবার খেতে বসেন। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ তাদের বারান্দা থেকে নানা রকমের শব্দ আসতে থাকে। কোথা থেকে সেই শব্দ আসছে, তা দেখার জন্য কুনাল বারান্দার দিকে যান। আর সেখানে গিয়েই দেখতে পান, এক ব্যক্তি তাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছে।
কুনালকে দেখতে পেয়ে অনুপ্রবেশকারী একতলার বারান্দায় পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু তাড়াতাড়ির মধ্যে পায়ে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান।
কুনাল দ্রুত নিচে ছুটে আসেন, ওই অনুপ্রবেশকারী পালানোর আগেই তাকে ধরে ফেলেন। তারপর তদন্ত শুরু হলে জানা যায় যে ওই ব্যক্তির একটি দীর্ঘ অপরাধমূলক ইতিহাস রয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতি করেছে সে।
এদিকে গতকাল রোববার লীলাবতী হাসপাতালে সাইফকে দেখতে গিয়েছিলেন সোহা। পরে তিনি কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। অভিনেত্রী জানান, সাইফ ভালো আছেন। দ্রুত সেরে উঠছেন তিনি।