নতুন বছরেই কারিনার কোল আলো করে আসবে দ্বিতীয় সন্তান। প্রতি মুহূর্তে গর্ভের ভিতর আরও একটা জীবন বেড়ে উঠার স্বাদ অনুভব করছেন নবাবপত্নি। তবুও কাজ থেকে বিরতি নেননি, ছবির শুটিং ও বিজ্ঞাপনী প্রচারের কাজ সারছেন পুরোদমে।
এমন অবস্থাতেও সমালতালে কাজ করে যাওয়ায় সকলেই প্রশংসা করছেন কারিনা কাপুর খানের। একইসঙ্গে মম টু-বি কারিনার গ্ল্যামারাস লুকও নজর কাড়ছে নেটিজেনদের।
বিজ্ঞাপন
আজকের এই প্রতিবেদনে দেখে নেবো মম টু-বি কারিনার গ্ল্যামারাস লুক...
সিনেমার ব্যবসা যখন মন্দা, তখনও পৈতৃক ব্যবসাকেই আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন মধুমিতা সিনেমা হলের বর্তমান কর্ণধার ইফতেখার নওশাদ। কিন্তু শেষরক্ষা আর হলো না। সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ বছর অতিক্রম করায় বছরজুড়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলটিকে আধুনিকায়ন করা হয়েছিলো। কিন্তু দেশে চলচ্চিত্রের বাজারের ধারাবাহিক মন্দায় ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক। আসছে রোজার ঈদে উৎসবের সিনেমা চালিয়ে সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইফতেখার নওশাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিনেমা নাই, কী করবো হল চালু রেখে। যে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সেইগুলো তো সিনেপ্লেক্সের সিনেমা। আমাদের হলে চালানোর মতো না। বছরে এত লস গুনে গুনে তো টিকে থাকা যায় না। তাই আসছে রোজার ঈদের সিনেমা চালানোর পর চিরতরেই মধুমিতা বন্ধ করে দেবো।’
জানা যায়, সিনেমা হলটি ভেঙে সেখানে উঠবে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। তবে সেখানে মাল্টিপ্লেক্স থাকবে বলেও জানিয়েছেন নওশাদ।
গণমাধ্যমকে ইফতেখার নওশাদ আরও বলেন, ‘এটা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলেও এই শহরের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটা ইমোশন, নস্টালজিয়া। কিন্তু পারছি না। বাধ্য হয়েই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তবে নতুন ভবনে মাল্টিপ্লেক্স করার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক কতটা কি করতে পারি।’
উল্লেখ্য, প্রায় অর্ধশত বছর পেরিয়েছে মধুমিতা হল। ১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হল উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান।
গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার সম্প্রতি দেশ নাটকের একক নাটক ‘পারো’তে অভিনয় করে নাট্যাঙ্গনে সাড়া ফেলেছেন। পুরো একটি নাটক একাই অভিনয় করার সাহস দেখানোর পর এবার বইমেলাতে আসছেন লেখিকা পরিচয়ে!
আসছে একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে সুষমা সরকারের লেখা গল্পের বই ‘দ্বিতীয়’। এটিই অভিনেত্রী সুষমা সরকারের প্রথম বই। তবে ব্যক্তি সুষমা সরকারের এটি প্রথম লেখা বই নয়। কারণ অভিনেত্রী হওয়ার আগেই অর্থাৎ ছাত্রজীবনেই তিনি প্রকাশ করেন তার প্রথম বই ‘প্রণয়’। সেদিক থেকে বলতে গেলে ‘দ্বিতীয়’ই তার ‘দ্বিতীয়’ বই।
নতুন বইটির দারুণ দৃষ্টিনন্দন একটি প্রচ্ছদ প্রকাশ করে সুষমা সরকার আজ বিকেলে ফেসবুকে লিখেছেন, “দ্বিতীয়’ আমার ২য় প্রকাশনা। প্রথম উপন্যাস ‘প্রণয়’ প্রকাশিত হয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে। তবে আমার এই বইয়ের শিরোনাম ‘দ্বিতীয়’ কোন দ্বিতীয় অর্থে নয়। এই দ্বিতীয় মানে দ্বিতীয় লিঙ্গ, মানে নারী। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারী সব সময় দ্বিতীয়ই থেকে গেছে অথবা তাকে কখনো প্রথম হতে দেওয়া হয়নি। যদিও আমাদের আদি সমাজ ব্যবস্থা ছিলো মাতৃতান্ত্রিক।’
সুষমা আরও লেখেন, ‘‘দ্বিতীয়’ নামে আমার এই গল্প সংকলনের প্রতিটি গল্পে আমি প্রকাশ করতে চেয়েছি বিভিন্ন বয়সের নারীর মনস্তাত্ত্বিক দন্দ, নারীর অবস্থান, একাকীত্ব, নারীর লড়াই, নারীর ক্ষমতায়াণ। ‘দ্বিতীয়’ আসছে এবারের বইমেলায় শব্দশিল্প প্রকাশণীতে। ধন্যবাদ লিটন কর (অভিনেত্রীর স্বামী ও চিত্রশিল্পী), দারুণ এই প্রচ্ছদের জন্য।’
এদিকে, সুষমা শুটিং শেষ করেছেন তার নতুন সিনেমা ‘সলতে’র। জহির রায়হান পরিচালিত সরকারি অনুদানের এই ছবিটি মূলত একুশে পদক বিজয়ী সমাজকর্মী পলান সরকারের বায়োপিক। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি ঘরে ঘরে বই বিতরণ করে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শিক্ষার প্রচারে শান্ত বিপ্লব পলান সরকারকে একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
গত বছর ‘কথা ক’ গান দিয়ে আলোচনায় চলে আসেন ঢাকার র্যাপার সেজান। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে কাজ করেছিল তার গানটি। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে প্রশংসা কুড়ান তিনি। গত ডিসেম্বরে সেজান জানিয়েছেন, নতুন অ্যালবামের কাজ চলছে। অবশেষে মুক্তি পেয়েছে তার বহুল প্রতীক্ষিত অ্যালবাম। এ অ্যালবামের কয়েকটি গান ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন গায়ক, মুক্তির পর থেকেই গানগুলো পছন্দ করেছেন তার ভক্ত-অনুসারীরা।
গত ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে সেজানের নতুন অ্যালবাম ‘লাল বাত্তি’। অ্যালবামের প্রচ্ছদের ছবি প্রকাশ করে সেজান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বহুল প্রতিক্ষীত ‘লাল বাত্তি' অ্যালবামটি অবশেষে এসেছে। আমরা অনেক দিন ধরেই অ্যালবামটির কাজ করছিলাম।’'
পোস্ট করা প্রচ্ছদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নতুন অ্যালবামে গান রয়েছে মোট ১০টি। লালের আবহে তৈরি পোস্টারে রয়েছে একটি ধারালো কুড়ালের ছবি। গানে গানে যে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছেন শিল্পী, এটা হয়তো তারই প্রতীক।
এর মধ্যে অ্যালবামের টাইটেল গান ‘লাল বাত্তি’ ও ‘গঙ্গা’ মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করছেন শিল্পী। সেজানের চ্যানেলে মুক্তির পর গানগুলো চলে এসেছে ট্রেন্ডিংয়ে। আজ সকালে ‘গঙ্গা’ গানটি রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের ১৫ নম্বরে, ‘লাল বাত্তি’ রয়েছে ১৮-তে। দুটি গানেই সমসাময়িক নানা অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন সেজান। ‘চোক্ষে চাইলেই বুঝন যায় কি আসে কার মনে’ গানে এমন কথা শুনে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘এবার সেজানের গান যেন আরও ধারালো হয়ে উঠেছে।’
গত ২৫ জানুয়ারি ইউটিউবে আসে ‘লাল বাত্তি’। আজ সকাল পর্যন্ত গানটির ভিউ ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, গানের প্রতিটি কথা মনের ভেতর গেঁথে থাকে। আরেকজন লিখেছেন, ‘সেজান ভাইয়ের গান যেন আগুন।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন আগুনের ইমোজি।
২৫ জানুয়ারি আসা ‘গঙ্গা’ গানটিও দারুণ পছন্দ করেছেন ভক্তরা। আজ সকাল পর্যন্ত গানটির ভিউ ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। এ গান শুনে মন্তব্যে ঘরে একজন লিখেছেন, ‘অনেক দিন ধরে নতুন গানের অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা পুরোপুরি সার্থক।’
‘কথা ক’ দিয়ে আলোচনায় আসার পর গত বছর বেশ কয়েকটি কনসার্টে অংশ নেন সেজান। বছরের শেষের দিকে নাম লেখান সিনেমার গানে। ‘এই শহর স্বার্থপর’ গানটি বানানো হয়েছে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার জন্য। সেজান একা নন, আহমেদ হাসান সানিও আছেন গানটিতে। এই শহরের অর্থাৎ মহানগর ঢাকার নিম্নমধ্যবিত্তদের বঞ্চনা আর বৈষম্যের শব্দে সাজানো হয়েছে গানের কথা।
চলতি বছর সেজান ও আরেক র্যাপার হান্নানকে পাওয়া যায় বইয়ের পাতায়। সপ্তম শ্রেণির ‘ইংলিশ ফর টুডে’ বইয়ে আলোচিত দুই তরুণ র্যাপার সেজান ও হান্নানের নাম এসেছে। বইয়ের ‘আ নিউ জেনারেশন’ অধ্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাঁদের গানের ভূমিকা কথা তুলে ধরা হয়েছে।
অর্চনা পুরণ সিংকে তরুণ প্রজন্ম ভালো করে চেনেন কপিল শর্মা শোয়ের বিচারক হিসেবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুণ সক্রিয় এই তারকা। হাসির জন্য বিখ্যাত এই তারকার চোখে এবার কান্না। না, কোন চরিত্রের প্রয়োজনে এই কান্না নয়। সত্যি সত্যি তিনি খারাপ সময় পার করেছেন।
শুটিং সেটে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ে আজ (৩০ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে একটি দৃশ্য ধারণের সময় হঠাৎ পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ভিলে পার্লের নানাবতী ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার কব্জিতে গুরুতর চোট লেগেছে, যা অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অর্চনা নিজেই এই ঘটনার খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান তার ছেলে আয়ুষ্মান কোনোভাবেই মায়ের দুর্ঘটনার বিষয়টি মানতে পারছে না। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায় অভিনেত্রীর ছেলে মায়ের জন্য কান্না করছেন।
ইনস্টাগ্রামে নিজের খবর জানাতে একটি ভিডিও পোস্ট করে অর্চনা লিখেছেন, যা হয়, তা ভালো জন্যই হয়… আমি ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছি। দ্রুত সুস্থ হয়ে কাছে ফিরতে চাই। এমনকি এরই মধ্যে তার সহঅভিনেতা রাজকুমার রাও-এর সঙ্গে কাজে ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, অভিনেত্রীর স্বামী পরমিত শেঠি জানিয়েছেন, কব্জির হাড় ঠিক করতে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেছেন। তিনি এখন বেশ ভালো আছেন। দুর্ঘটনার কারণে তার ঠোঁটের কাছেও আঘাত লেগেছে এবং জায়গাটি ফুলে গেছে। সে শুটিং করতে চাইছে বিষয়টা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।