নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী 

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ভোটের দুই দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মাদ রাকিব হোসেন। প্রশাসনের পক্ষপাত, সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ তুলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি ) বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শহরের ডিবি রোডস্থ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পক্ষপাত করা হচ্ছে। সকালে পোস্টার লাগালে দুপুরে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন কালো টাকার প্রভাবে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট ও কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসব কারণে তিনি নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্দধ হন।' 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'নির্বাচনে কালো টাকার ব্যপক ছড়াছাড়ি হচ্ছে। কালো টাকার প্রভাবে কেন্দ্রে এখন এজেন্ট দেয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় আমার পোস্টার ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালাম।' 

তিনি বলেন, 'আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি' ।

এ সময় উপস্থিত ছিলে, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক মহিউদ্দিন খোকন, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক নিজাম উদ্দিন খান, জেলা সদস্য মিনহাজুর রহমান বিন্তু, পৌর জাতীয় পার্টির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ্ উদ্দিন খোকন।

উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মাদ রাকিব হোসেন প্রচার-প্রচারনার শুরু থেকে অদ্যাবধি নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার সাঁটিয়ে, মাইক পাবলিসিটি, উঠোন বৈঠক করে বিভিন্নভাবে প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার আগের দিনে বিভিন্ন আশঙ্কা এনে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।