নড়াইল জুড়ে মাশরাফির উন্নয়ন গাঁথা

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • আহসান জোবায়ের,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

নড়াইল-২ আসন থেকে: জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল উন্নীত হয়েছে ৩৫০ আসনে। লোহাগড়া উপজেলা সদর হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ৫০ শয্যায়। প্রস্তাবিত ইপিজেড, আইটি পার্ক, স্টেডিয়াম সংস্কার ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজও শুরু হয়েছে। শহরের সড়ক চার লেনে উন্নীত করণ, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়ক পাকা করা, মধুমতি সেতু নির্মাণ ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় চলছে বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প।

নড়াইলের পথে পথে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ছোঁয়ায় সবকিছু বদলে যেতে চলেছে। মানুষের মুখেও তাই এমপি মাশরাফির গুনগান। নির্বাচনের  বিরোধীরাও মাশরাফির বিষয়ে খুব সতর্কভাবে মন্তব্য করছেন।

বিজ্ঞাপন

একই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী লোহগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, 'মাশরাফি অনেক ভাগ্যবান যে তিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ তাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কেন্দ্রীয় সরকার নড়াইলে অনেক উন্নয়ন করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে তার (মাশরাফির) অনেক অবদান রয়েছে।' 

আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হাফেজ মাহবুবুর রহমানের মুখেও মাশরাফির স্তুতি। তিনি বলেন, 'মানুষ হিসেবে মাশরাফি অনেক ভালো। নড়াইলের অনেক উন্নতি করেছে। অনেক ভালো ভালো প্রকল্প এসেছে, যেটা সে ছাড়া অন্য কারও পক্ষে সম্ভব না।' 

জেলার মোড়ে মোড়ে উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্রের উদাহরণ সংবলিত পোস্টারেরও দেখা মিলে।


নির্বাচনী পথসভায় মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, 'নড়াইলের মেগা প্রকল্পের দিকে তাঁকান। জেলার উন্নয়ন শুন্য থেকে শুরু করা হয়েছে। নদী ভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। নড়াইলে নদী ভাঙন আছে এটা সরকারের কাছে তথ্যই ছিলো না। আমি নদী ভাঙন রোধ করতে মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, প্রকল্প নিয়ে এসেছি।' 

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে মাশরাফি বলেন, 'নবগঙ্গা প্রকল্পের ৩০২ কোটি টাকা, মল্লিকপুরের বাঁধ, শালনগরসহ ২৭ টি স্পটে নদীভাঙন আছে। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ হবে এই অঞ্চলগুলোতে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে শুধু গ্রামের রাস্তা ঠিক করতে।'