বগুড়ায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রচারণায়, ভিডিও ভাইরাল

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রচারণায়

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রচারণায়

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে আপেল মাহমুদ নামের একজন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। আপেল মাহমুদ শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের মালিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বিএনপির সাবেক নেত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগমের নির্বাচনী জনসভায় ট্রাক প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে তিনি বিভিন্ন স্থানে তৌহিদুর রহমান মানিকের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে তৌহিদুর রহমান মানিক মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকে আপেল মাহমুদ বিউটি বেগমের ট্রাক প্রতীকে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। একই ব্যক্তি কয়েকদিনের ব্যবধানে দুই প্রার্থীর ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ২২ ডিসেম্বর পোলিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আপেল মাহমুদ। তারপরেও আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনি প্রচারণা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নার নির্বাচনী কর্মী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, আপেল মাহমুদ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। ট্রাক মার্কার ভোট করছেন প্রকাশ্যে। এছাড়াও তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে সাংবাদিকতা করেন। মোকামতলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এতো কিছুর পরেও প্রশাসন নিশ্চুপ কেনো জানি না।

এ প্রসঙ্গে আপেল মাহমুদ বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারণায় নামিনি। আমার কোনো আত্মীয়, স্বজন নির্বাচন করছেন না যে আমি তাদের হয়ে মাঠে কাজ করবো। কেউ যদি বলে এটি মিথ্যা বলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি এবারের নয়। আগের ভিডিও দিয়ে কেউ আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে আপেল মাহমুদের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, আপেল মাহমুদ সরকারি চাকরি করে নির্বাচনী প্রচারণা করে বেড়াচ্ছেন, এমন অভিযোগ শুনেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।