আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে বাবা সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা-৭ আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী হাজী সেলিমের জ্যেষ্ঠপুত্র সোলায়মান সেলিম।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩ টার পরে রাজধানীর আজিমপুর এস্টেট জনকল্যাণ সমিতির সামনে নির্বাচনী প্রচারণাকালে এসব কথা জানান তিনি।
সোলায়মান সেলিম বলেন, 'আমাদের অত্র এলাকায় সকল সমস্যাগুলো বিবেচনা করে আমরা ইতিমধ্যে ইশতেহার জমা দিয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে কার্যক্রমগুলো করতে চাই সেটার সঙ্গে সমঝোতা রেখে আমরা আমাদের ইশতেহার জমা দিয়েছি।'
আমাদের ভোটারদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে কাজগুলো আমার বাবা করে আসছিলো সেগুলোর যদি কোন অসমাপ্ত কিছু থেকে থাকে তাহলে সেই কাজগুলো এবং তার যে শান্তির স্বপক্ষে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ছিল সেগুলো আমরা চলমান রাখবো। এছাড়া সকল বিষয় বিবেচনা করে সমাধানের মাধ্যমে আমরা পুরান ঢাকাকে নিয়ে নতুন একটি স্বপ্ন দেখবো।'
তিনি বলেন, 'সকল ক্ষেত্রে আমাদের কিছু উন্নয়ন দরকার আছে। আমাদের পুরান ঢাকায় যানজটের কিছু সমস্যা আছে, এই এলাকাতে অগ্নিসংযোগের কিছু সমস্যা আছে এগুলোর জন্য আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন, সামাাজিক ক্রীড়া সংগঠন, ব্যবসায়িক সংগঠন যারা আছে সবাইকে নিয়ে বসে আলাপের মাধ্যমে আমাদের ইশতেহারে যেগুলো আছে সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করবো। সবার সঙ্গে আলোচনা করে যদি সেই অনুযায়ী কোন পরিকল্পনার পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে আমরা পরিবর্তন এনে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবো।'
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর এখন চলছে প্রচারণা। যা শেষ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। একদিন বিরতি দিয়ে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) দুই সিস্টেম ম্যানেজারদের বদলি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাদের দুইজনকে বদলি করা হয়।
অফিস আদেশে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে বদলি করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রযুক্তি শাখায় সিস্টেম ম্যানেজার করা হয়েছে।
এছাড়া, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রযুক্তি শাখার সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হককে বদলি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ভবনের সার্বিক নিরাপত্তায় অন্যদের সঙ্গে সাংবাদিকদেরও হুমকি মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য অন্যান্য দর্শনার্থীদের মতো নির্বাচন ভবনে সাংবাদিক প্রবেশ ও অবস্থানে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) সহিদ আব্দুস ছালাম এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছেন।
এতে উল্লেখ করা হযেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (নির্বাচন ভবন) এর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন সেবা প্রত্যাশীগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আইডিইএ-২ (স্মার্টকার্ড) প্রজেক্ট, ইবিএম প্রজেক্ট, সিবিটিইপি প্রজেক্ট, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউডি এর কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের ব্যক্তিগত অতিথি এবং সাংবাদিকগণকে অফিস সময়ের শেষে বিকাল ৫টার পরে নির্বাচন ভবনে অবস্থান ও প্রবেশ না করার জন্য নির্দেশনক্রমে অনুরোধ করা হলো। শুধুমাত্র মিডিয়া সেন্টার ও সাংবাদিকবৃন্দের জন্য খোলা থাকবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, যেখানে গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়, সেখানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা হুমকি মনে করে এই ধরণের অফিস আদেশ এবারই প্রথমবারের মতো জারি করলো ইসি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা-২ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খানকে ওএসডি করা হয়েছে। আরেক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেনকেও ওএসডি করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আউয়াল কমিশন। পরে পদত্যাগ পত্রে সই করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া, ইসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।