পারস্পরিক দ্বন্দ্বে কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি
ভোট এলো, এলো ভোটআসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ভোটের মাঠে না থাকায় উত্তাপ ছড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই সরগরম হচ্ছে ভোটের মাঠ।
গাজীপুরের সবকয়টি আসনেই দলীয় মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যার ফলে নিজ দলেই শুরু হয়েছে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব। এতে অনকটাই আতঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা। এসব কারণে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রতিক্রিয়া। তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
জেলার সাধারণ ভোটাররা বলছেন যদি প্রার্থীরা সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন না করে, প্রচার প্রচারণার মধ্যে একে অপরের উপর হামলা করে তবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়েও সংশয় থেকে যায়।
তবে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু সুন্দর রাখতে মাঠে নেমেছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগের আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গাজীপুরে ভোটের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আসনেই রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থীরা। তারা প্রত্যেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জোরেসোরে। তাদের বিপরীতে রয়েছেন দলের স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী।
প্রতিটি আসনেই প্রচার প্রচারণার মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কোথাও মারধর, কোথাও আবার প্রচারণায় বাধা, নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুরসহ অন্তত ১০ টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও মামলাও করেছে প্রার্থীদের সমর্থকরা।
তবে ভোটের মাঠে সহিংসতা এড়াতে ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে গাজীপুরে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা সব দিক থেকেই প্রস্তুত আছি।'
এদিকে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম জানান, 'নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব যাতে না হয় তার জন্য আমরা তাদের সচেতন করছি। পাশাপাশি ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদবুদ্ধ করা হচ্ছে।'