মানিকগঞ্জ-২: স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে হত্যার হুমকি, থানায় মামলা

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি

অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক মো. শাখওয়াত হোসেন নামের একজনকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত দুজনেই বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সমর্থক। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে মো. শাখওয়াত হোসেন বাদী হয়ে এ ঘটনায় হরিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

হত্যার হুমকি পাওয়া সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৌড়ি কলেজগেট মোড়ে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এসময় মোল্লা ফরিদ এবং রিফাত চৌধুরী ২০-২৫ টি মটর সাইকেল নিয়ে এসে চায়ের দোকানে প্রবেশ করে আমার হাতে নৌকা মার্কার লিফলেট দিয়ে আমাকে নৌকা মার্কার মিছিলে যেতে বলে।

বিজ্ঞাপন

আমি মিছিলে যেতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে টানা হেচড়া করতে থাকে। আমি বাধা প্রদান করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং প্রাণে মেরে ফেলবার হুমকি প্রদান করে। নির্বাচনের পরে আমি কিভাবে এলাকায় থাকি তা দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা বলেন, তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহিন। আমাদের হেনস্থা করার জন্য এসব কাজ করছেন তিনি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরী বলেন, সে দীর্ঘদিন যাবত বিএনপি করে, তাকে জোর করে মিছিলে নেওয়ার কোন মানে নাই। তারা একটা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলো, চায়ের দোকানে যারা সাধারণ জনগণ ছিলো এবং চায়ের দোকানদার ছিলো তাদের কাছে আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছি ও একটি করে লিফলেট দিয়েছি। সাথে তারাও বসা ছিলো তাই তাদের হাতেও একটা করে লিফলেট দেই। তাকে হুমকি ধামকি কোন কিছুই দেওয়া হয়নি শুধু বলা হয়েছে আপনারা মানুষকে সঠিক তথ্য দিবেন। ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বিমুখ করবেন না।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নুর এ আলম জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা দাখিল করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।