মাহিকে জুতা মারার হুমকি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন মাহাম

  ভোট এলো, এলো ভোট
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাহিকে জুতা মারার হুমকি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন মাহাম

মাহিকে জুতা মারার হুমকি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন মাহাম

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আকতার নিপা ওরফে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জুতা মারার হুমকি দেওয়া মাহাবুর রহমান মাহাম আদালতে হাজির হয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (২) বিচারক মো. আবু সাঈদের আদালতে সশরীরে হাজির হন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন। এতে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত মাহামকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন যেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আর না করেন।

এর আগে, শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মাহাম নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে তিনি রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিকে উদ্দেশ্য করে জুতা দেখান এবং তার সম্পর্কে নানান কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে আর একটা কথা বললে, মাহিকে জুতাপেটা করার হুমকি দেন মাহাম। কিছুক্ষণ পর তিনি সেই ভিডিও ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিট করে ফেলেন।

বিজ্ঞাপন

মাহামের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত ছদের আলী। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। তবে বর্তমানে তার দলীয় কোনো পদ নেই। মাহাম এলাকায় দুষ্টু প্রকৃতির ছেলে হিসেবে পরিচিত। এছাড়া তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি।

তার এই হুমকির বিষয়টি নজরে এলে আসনটিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাঈদ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে আদালতে তলব করেন। এছাড়া একই ঘটনায় মাহামের বিরুদ্ধে থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মাহি।

রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম জানান, তদন্তের অনুমতি চেয়ে ওই অভিযোগটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত অনুমতি দিলে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যক্রম ও এই অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই আলাদাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।