রমজানে ঢাকায় শতাধিক ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রাজধানীতে ১১৬ টি ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। আর সারা দেশে ৫০৫টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবির। প্রতিটি ট্রাক সেলেই ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) টিসিবির কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ১ এপ্রিল থেকে রমজানের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। শুরুতে ঢাকায় ৫০ থেকে ৬০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। বাড়তে বাড়তে তা এখন ১১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি এলাকায় ৯৯টি ও সিটির বাইরে ১৭টি ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকার ২০০ স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি চলছে। একদিন অন্তর অন্তর ওই স্থানগুলোতে টিসিবির ট্রাক দাঁড়াচ্ছে। আর সারাদেশে এখন ৫০০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি চলছে। রমজানে নতুন করে টিসিবির ট্রাকে আবারও পেঁয়াজ যুক্ত হয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির প্রতিটি ট্রাকেই এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকছে। সোমবার সচিবালয় গেট, প্রেসক্লাব গেট ও পুরানা পল্টনে টিসিবির ট্রাকগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারেও ছিল একই অবস্থা। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছিল।

টিসিবি জানিয়েছে, ট্রাক থেকে চিনি ৫০ টাকা (সর্বোচ্চ ৪ কেজি), মসুর ডাল ৫০ টাকা (সর্বোচ্চ ২ কেজি) ও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটার (সর্বোচ্চ ৫ লিটার) দরে কেনা যাবে। এছাড়া ছোলা ৬০ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রমজান উপলক্ষে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। ২০ মে পর্যন্ত তা চলার কথা রয়েছে। গত ৩১ মার্চ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, রমজান উপলক্ষে সারাদেশে ৩৫০টি ট্রাকে বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০, চট্টগ্রামে ১৬, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ১০টি ও জেলা সদরে ৪টি করে টিসিবির ট্রাক থাকবে। পরে ধারবাহিকভাবে বেড়েছে টিসিবির ট্রাকের সংখ্যা।

এর আগে করোনার সময়ে সাধারণ ছুটিতেও টিসিবির কার্যক্রম চলছিল। ঢাকায় তখন ৫০ থেকে ৬০টি ট্রাকে এই বিক্রি কার্যক্রম চলছিল। তবে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় বাজার ও কলোনির দিকে টিসিবির ট্রাক ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির দাবি। পণ্য কিনলে বিনামূল্যে মাস্ক দিয়েছে টিসিবি।

ঢাকা নগরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রির সম্ভাব্য স্থান— প্রেসক্লাব, সচিবালয় গেট, যাত্রাবাড়ী, ইত্তেফাক মোড়, শান্তিনগর বাজার, শাহজাহানপুর বাজার, খামারবাড়ী ফার্মগেট, মিরপুর-১৪ কচুক্ষেত, মিরপুর-১ মাজার রোড, শ্যামলী মোড়/ন্যাম গার্ডেন, উত্তরা আব্দুল্লাপুর, ভিকারুননেসা ১০ নং গেট/ইস্টার্ন গাউজিং গেট, বেগুনবাড়ী, মতিঝিল সরকারি কলোনি, ভাষানটেক বাজার, মধ্য বাড্ডা, পলাশী/ছাপড়া মসজিদ, জিগাতলা/ধানমন্ডি সরকারি কলোনি, রামপুরা বাজার, মাদারটেক/নন্দীপাড়া/কৃষি ব্যাংকের সামনে, আদাবর/মনসুরাবাদ, বাংলা কলেজ, শাহ সাহেব মাঠ আজিমপুর বটতলা।

এছাড়াও আশকোনা হাজী ক্যাম্প, বাসাবো বাজার, আজমপুর, ডিসি অফিস, সাঁতারকুল, বাংলাদেশ ব্যাংক, মিরপুর-২/১২, মাতুয়াল/সিদ্ধিরগঞ্জ, ইসিবি/কালশী, গাবতলী/টেকনিক্যাল, কাপ্তান বাজার, সোয়ারিঘাট/নবাবগঞ্জ সেকশন, বনশ্রী বাজার, কলমিলতা বাজার, কারওয়ানবাজার, দিলকুশা, মেরাদিয়া বাজার, নিপ্পন বটতলা, খিলগাঁও তালতলা, মুগদা, নিউমার্কেট, টঙ্গীবাজার, শণির আখড়া, বছিলা, কামরাঙ্গীর চর লোহার পুল, সারুলিয়া বাজার, গঙ্গী বাজার, ৬০ ফিট ভাঙ্গা মসজিদ, গুলিবাগ খোকন কমিউনিটি সেন্টার, গুলশান ভাটারা বাজার, সাভার বাজার, আনন্দ সিনেমা হল, মগবাজার ফরচুন মার্কেট, হাতিরপুল বাজার, মালিবাগ বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার ও খিলক্ষেত বাজার।