১১ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১১ এপ্রিল (শনিবার)পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ।
 
শনিবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় এক অডিওবার্তায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান ।
 
রুবানা হক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সকল পোশাক মালিক ভাই ও বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
 
তার কিছুক্ষণ আগে নিট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পক্ষ থেকে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
 
পায়ে হেঁটে রিকশা করে দেশের দূরদূরান্ত থেকে শুক্র ও শনিবার শ্রমিকরা ঢাকায় চলে আসার পর অনেকটা নাটকীয়ভাবে পোশাক কারখানাকে বন্ধ রাখার আহবান জানালো বিজিএমইএ সভাপতি।
 
কিন্তু তার আধা ঘণ্টা আগে অপর এক অডিওবার্তায় সাংবাদিকদের ড.রুবানা হক জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ছুটির সময়ে আন্তর্জাতিক কাজের অর্ডার থাকলে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে পারবেন মালিকরা। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে করতে হবে।
 
রোববার ৫ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা খোলা থাকবে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনা মহামারির এ সময়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে থেকে একটি নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে সমস্ত রফতানিমুখী শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা করোনার সরঞ্জামাদি, মাস্ক চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সহ করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী তৈরি করছে এমন কারখানাগুলো তাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে খোলা রাখতে পারবে। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব কিভাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিবো।
 
দ্বিতীয় হচ্ছে মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোন অনিহা থাকা যাবে না। মার্চ মাসের বেতন শ্রমিকরা পাবেন এটা নিশ্চিত করতে চাই।

গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ সময়ে যদি কোনো শ্রমিক কারখানায় উপস্থিত না থকেন তাহলে মানবিক বিবেচনায় তার চাকরি যাবে না। এটি আমাদের বিজিএমইএর প্রত্যেকটি সদস্যর কাছে অনুরোধ করবো। আমি আশা করি পোশাক মালিকরা এটি শুনবেন।