ঢাকার বাজার দেশি হাঁস-মুরগি শূন্য

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দেশি মুরগি নেই বাজারে, ছবি: বার্তা২৪.কম

দেশি মুরগি নেই বাজারে, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর বাজারে দেশি হাঁস-মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে  ব্রয়লার, লেয়ার ও পাকিস্তানি মুরগির।

দোকানিরা জানিয়েছেন, মূলত দেশি হাঁস-মুরগি যাত্রীবাহী কোচের উপরে করে ঢাকায় আনা হয়। এখন যেহেতু যাত্রীবাহী কোচ চলাচল বন্ধ তাই এগুলোর সরবরাহ কমে গেছে। কেউ কেউ দাবি করছেন পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কেউ দেশি মুরগি আছে বলে দাবি করলে সেটি হয়তো ধোঁকা দিয়ে থাকতে পারেন বলেও জানান দোকানিরা।

ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর বাজার, মিরপুর-১৪, রূপনগর আবাসিক এলাকা, পল্লবী ঘুরে কোথাও কোনো দোকানে দেশি মুরগি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে ব্রয়লার লেয়ার স্বাভাবিক রয়েছে। দোকানিরা দাবি করছেন, ব্রয়লার লেয়ার মূলত ফার্মের নিজস্ব গাড়িতে করে ঢাকা আসে তাই এসবের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। দামও বলা চলে আগের মতোই রয়েছে। তবে পরিস্থিতি এমন থাকলে ব্যবসায়ীরাও বিকল্প পথ ঠিকই বের করবেন। হয়তো দেশি মুরগিও পাওয়া যাবে দু-চারদিন পর।

অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন ঢাকা লকডাউন হলে কাঁচা সবজির বাজারে আগুন ধরে যেতে পারে। কিন্তু তাদের শঙ্কা অসারে পরিণত হয়েছে। সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে। দামও আগের মতো রয়েছে, ক্ষেত্র বিশেষে অনেক সবজির দাম কমেছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রাজধানীর বাজারে পণ্যের দাম ও ক্রেতা উভয়ই কমেছে

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ মার্চ) করলা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, শিম ৩০ টাকা, টমেটো ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। লাউ মিলছে ৩০/৪০ টাকায়, পানি কুমড়া ২৫/৩৫ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, সজনে ডাটা দেড়শ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যান্য সবজির দামও হাতের নাগালে। লকডাউন শুরুর দিকে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণে যেসব পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল সেগুলোও কমে এসেছে।

এদিকে, বাজারগুলোতেও নেই আগের মতো উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতারা মনে করছেন গণপরিবহন বন্ধের পূর্বে বিপুল সংখ্যক নগরবাসী ঢাকা ছাড়ার সুফল পাচ্ছে ঢাকাবাসী। একদিকে ঝুঁকি তৈরি হলেও অনেক বাসিন্দা ঢাকা ছাড়ায় নগরীতে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। এতে বাজারের ওপর চাপ কমে গেছে। এ কারণে ক্রেতা সমাগম কমে যাওয়ায় কম মুনাফায় মালামাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন দোকানিরা।

একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি, অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে বাজার মনিটরিং পরিস্থিতি অনেকটা সহায়ক রয়েছে। অতীতে যে কোনো সংকটকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা অর্থ হাতানোর চেষ্টা করলেও এবার তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। বলা চলে নগরবাসী এক নতুন ঢাকাকে দেখতে পাচ্ছে সর্বত্র।