সারা ও ওয়ালটনসহ ১০ প্রতিষ্ঠান পেল সেরা ভ্যাট সম্মাননা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি ও এনবিআর কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি ও এনবিআর কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং সারা লাইফস্টাইল লিমিটেডসহ মোট ১০ প্রতিষ্ঠান এনবিআরের সেরা ভ্যাট সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিম কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী এ ১০ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়।

বিজ্ঞাপন

এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. মাসুদ সাদিক সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। কমিশনারেটের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই টেকের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম ও সারা লাইফস্টাইলের মতিউর রহমান বক্তব্য দেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, সারা লাইফস্টাইল ৩২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স ৩২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড ২১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ফিট এলিগেন্স ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা, নাভানা ফার্নিচার ১৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, মেসার্স ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ১৬ লাখ এক হাজার টাকা এবং বঙ্গজ বেকারস ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়েছে।

এ বছর দেশি ও বিদেশি ৪৮৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। সব প্রতিষ্ঠানই পাঁচ শতাংশ হারে ভ্যাট দিয়েছে। মেলা থেকে ছয় কোটি ৪৭ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, জনগণের দেওয়া ভ্যাট আহরণে এ ১০টি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মেলায় আইন পরিপালনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সংস্কৃতি অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই।

ভ্যাট আহরণ পদ্ধতি ডিজিটাল করার ওপর জোর দেন দিনি। ওয়ালটনের প্রতিনিধি বলেন, এবারের মেলায় দর্শনার্থী ও স্টল কম ছিল। সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ছয় দিন মেলা ব্যাহত হয়। তা সত্ত্বেও আমরা যথাযথভাবে ভ্যাট দিয়েছি। আমরা নির্বিঘ্নে ভ্যাট দিতে চাই এবং এজন্য সরকারের সব সেবার মান বাড়ানোর অনুরোধ করছি। শুধু এনবিআর বদলালে হবে না ইপিবি, ট্রেড লাইসেন্স দফতরসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এনবিআরের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন

সারার প্রতিনিধি বলেন, আমরা নতুন ভ্যাট আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন মানলে চূড়ান্ত ব্যবসায়িক খরচ কমে যায়। আমরা ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেটের নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণকে স্বাগত জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মইনুল খান বলেন, বাণিজ্য মেলায় আহরিত মোট রাজস্বের পরিমাণ কম হলেও তা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। এ ভ্যাট সাধারণ জনগণ সরাসরি দিয়েছেন এবং তারা জানতে চান যে এ ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা। বাণিজ্য মেলায় এ ১০টি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ অটোমেশন পদ্ধতিতে ভ্যাটের হিসাব সংরক্ষণ করেছে এবং সঠিক পরিমাণ ভ্যাট পরিশোধ করেছে।

তিনি বলেন, এনিআরের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা এ সম্মাননা তাদের ভ্যাট আইন মানার স্বীকৃতি। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও স্বেচ্ছায় আইন মেনে ভ্যাট দেওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি এনবিআরের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুযোগ নেওয়ার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করেন।