খাসির মাংস ৯শ’, বেড়েছে চাল ও পেঁয়াজের দাম

  • তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ-রসুনের দোকান

কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ-রসুনের দোকান

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে চাল ও পেঁয়াজের বাজার।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিনদিন আগেও যেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ও কারওয়ানবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো চালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে চালের দাম বেড়েই চলেছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫ থেকে ৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৩৮ টাকা, স্বর্ণা ৩৩ টাকা, পুরাতন চিনিগুঁড়া চাল ১১৫ টাকা এবং নতুন চিনিগুঁড়া চাল ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাল

টাউনহলের চাল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেন, দাম বাড়ার বিষয়টি মিল মালিকরাই ভালো বলতে পারেন। বাড়তি দামে কিনেছি তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। চালের দাম বাড়ার ফলে আমাদের ক্রেতা কমে গেছে। আমরা ব্যবসায়ীরাও সমস্যার মুখে পড়ছি।

নাহিদ হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, বেশির ভাগ সময়ই বাজার অস্থিতিশীল থাকছে। বাজারে কোন না কোন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম ছিল আবার বাড়তে চলেছে, চালের বাজার অস্থির। সব মিলিয়ে দাম বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত আমরা সাধারণ ক্রেতারা।

শীত মৌসুম হওয়ায় সব ধরনের শীতকালীন সবজি বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৩০ টাকা, বেগুল মান ভেদে ৬০-৮০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ১৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, শসা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা, লাউ ৮০-১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ১০ টাকা আঁটি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সবজির দোকান

সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনসুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, বেশির ভাগ সবজির দাম বাড়েনি, গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে বেগুন, লাউসহ কিছু সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস আগের নির্ধারিত মূল্যে ৫৫০ ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কমেছে সপ্তাহের ব্যবধানে। ফার্মের মুরগি কেজি প্রতি ১১৫-১২০ টাকা, কক মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা, হাঁস প্রতি পিস ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীত মৌসুমেও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ রয়েছে। দামও তুলনামূলক কম। এক কেজির ছোট সাইজের ইলিশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া সাইজ ভেদে প্রতি কেজি বড় সাইজের রুই মাছ ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, বড় সরপুঁটি ২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দোকান

বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা অভিযোগ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিদিন বাজারে ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। বাজার পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নেন। খেতে হবে তাই বাড়তি দাম হলেও কিনতে হয় ক্রেতাদের।

টাউনহল বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সুমন হোসেন জানান, মসলার বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচের, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ৫০০০ টাকায়, জয়ত্রী ৪০০০ টাকা এবং দারুচিনি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেড়েছে তেল ও চিনির দাম। ব্র্যান্ড ভেদে প্রতি ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৪৭৫ থেকে ৫১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর দাম বেড়ে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে।