তালিকা নেই, ইচ্ছেমতো খাবারের দাম

  • মাহফুজুল ইসলাম,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তালিকা না থাকায় উচ্চ হারে খাবারের দাম রাখছেন দোকানিরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

তালিকা না থাকায় উচ্চ হারে খাবারের দাম রাখছেন দোকানিরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) খাবারে তালিকা প্রণয়ন করেনি মেলা কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের থেকে ইচ্ছেমতো খাবারের দাম রাখছেন দোকানদাররা। এতে প্রায় সময় দোকানের মধ্যে ক্রেতা বিক্রেতার ঝগড়া এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে।

সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ৭০ টাকার হাফ প্লেট তেহারি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ফুল প্লেট তেহারির দাম রাখা হচ্ছে ৩৬০ টাকা। কিছু দোকানে এর থেকে বেশি দামও নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত দামের কারণে দোকানে ভিড় নেই ক্রেতাদের।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বাণিজ্যমেলার পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্বপাশে অবস্থিত দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, খাবার আছে, টেবিল আছে কিন্তু ক্রেতা নেই। সিনেমা হলের সামনে যেমনিভাবে বলে এই টিকেট টিকেট, ঠিক তেমনিভাবে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে দোকানের কর্মচারীরা বলছেন, 'আসেন ভাই, ভালো খাবার। আসেন আপা ভালো খান। আসেন, কি খাবেন তেহারি, বিরিয়ানি, স্পেশাল নান, শিক কাবাব আছে।' দোকানগুলোর কাছ দিয়ে কেউ গেলেই তাদের জামাই আদর করে (ডেকে, হাত ধরে) নিয়ে যাচ্ছে ভেতরে।

তবে সেখানে বসে খাবার খাওয়ার পরপরই দোকানিরা ক্রেতাদের ধরিয়ে দিচ্ছেন উচ্চ মূল্যের ভাউচার। এতে প্রায় সময় দোকানিদের সঙ্গে ক্রেতাদের ঝগড়া লেগে যাচ্ছে। সে ঝগড়া অনেক সময় হাতাহাতির পর্যায় গিয়ে পৌঁছায়।

বিজ্ঞাপন

ইচ্ছেমতো দাম হাঁকানোর কথা স্বীকার করে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় অবস্থিত গৃহিণী বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাবের কর্মচারী মুনির বার্তা২৪.কমকে বলেন, যখন লোকজন কম থাকে তখন কম দামেই খাবার বিক্রি করি। চাহিদা বেশি থাকলে দামও বাড়াই।

তিনি বলেন, আজকে কেনাবেচা কম তাই ফুল প্লেট তেহারি ৩৬০, হাফ প্লেট বিক্রি করছি ১৮০ টাকায়। ফুল প্লেট কাচ্চি বিক্রি করছি ৩৭০ টাকা, ফুল প্লেট বিফ বিরিয়ানি ৩৪০টাকা এবং চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি করছি ৩৫০ টাকা দরে।

গৃহিণী বিরিয়ানির ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মেলা কর্তৃপক্ষ এবার খাবারের কোনো তালিকা দেয়নি। ফলে গতবারের রেটে খাবার বিক্রি করছি। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে খাবারের তালিকা পেয়ে যাব।’

হাজী বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবার ঘরের কর্মকর্তা আরিফুল কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখনো আমাদেরকে কোনো তালিকা দেয়নি। তাই আমাদের মতো করে খাবারে দাম নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল বিক্রি হয়নি। আজকে (দুপুর ২টা) পর্যন্ত মাত্র ২জন কাস্টমার এসেছে।’

নাম না প্রকাশের শর্তে মেলা কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘খাবার দাম নির্ধারণের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এখনো সবার সঙ্গে বসে দাম নির্ধারণ করেননি। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে তালিকা দেয়া হবে।’