জিআরআই গাইডলাইন অনুসরণের আহ্বান

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিআরআই ও ডিএসই আয়োজিত ওয়ার্কশপ

জিআরআই ও ডিএসই আয়োজিত ওয়ার্কশপ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানিকে গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের (জিআরআই) গাইড লাইন অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

তিনি বলেন, জিআরআই গাইড লাইন হলো বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত, বিশ্বস্ত এবং ব্যবহারবান্ধব। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—কোম্পানির ব্র্যান্ডিং, খ্যাতি এবং পণ্যের পার্থক্য কাঙ্খিত পর্যায়ে বৃদ্ধি করে। জিআরআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুনাফার দিক থেকে বিশ্বের ৯৩ শতাংশ বৃহত্তর কোম্পানির তিন-চতুর্থাংশ সাসটেনেবল রিপোর্ট তৈরিতে জিআরআই-এর কাঠামো ব্যবহার করে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথ উদ্যোগে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘টেকনিক্যাল সিরিজেস প্রিপেয়ারিং এ সাসটেনেবল রিপোর্ট’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটওয়ারী, কোম্পানি সচিব মোহাম্মাদ আসাদুর রহমান, জিআরআই সাউথ এশিয়ার সাসটেনেবলিটি এক্সপার্ট পল্লবী আত্রী এবং জিআরআই সাউথ এশিয়ার ডিএফএটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিস রুবিনা সেন।

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, জিআরআই মান অনুযায়ী ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তা প্রদান ও পরিবেশ রক্ষা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স পরিপালন ও স্টেকহোল্ডারদের সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের উন্নতি, খ্যাতি বৃদ্ধি ও বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ডিএসই ইতোমধ্যে সাসটেনেবল রিপোর্টিংয়ের ওপর নির্দেশিকা চালু করেছে এবং সমস্ত তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে এটি অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

সাউথ এশিয়া গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ড. অদিতি হালদার বলেন, সাসটেনেবল রিপোর্ট তৈরি এবং এটি প্রচারে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১১০টি দেশ জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডগুলো নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো একসাথে কাজ করলে এ কাজগুলো আরও সহজ হয়ে যায়।