পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো পূর্বঘোষিত গণপদত্যাগ ও গণছুটি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বন্যাদুর্গত মানুষের কথা বিবেচনায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়, দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনের ১০ তলার কনফারেন্স রুমে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পরেই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক। প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস, মোঃ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া ও আব্দুল হাকিম।
সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারবাহিকতায় ২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
খবর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বন্যাদুর্গত মানুষের কথা বিবেচনায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়, ছাত্র সমন্বয়ক এবং দেশের সুশীল সমাজের আহ্বান এবং সর্বোপরি আপামর জনসাধারণের অনুরোধের প্রেক্ষিতে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ বিভাগ দায়িত্ব নিয়ে আরইবি এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিফর্ম কার্যক্রম ও সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করবেন এবং অনতিবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন।