ওপেক ফান্ডের ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেল সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত দি ওপেক ফান্ড-এর সঙ্গে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
দেশের আমদানি ও রফতানি কোম্পানিগুলিকে, বিশেষ করে কৃষি ও গ্রিন এনার্জি খাতে অর্থায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহায়তার জন্য এ অর্থ ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশের কৃষি ও গ্রিন এনার্জি পণ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে ভিয়েনায় ওপেক ফান্ডের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ বিজনেস অফিসার শেখ মোহাম্মদ মারুফ এবং ওপেক ফান্ড-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আলনাসার এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
আলনাসার বলেন, ‘ওপেক ফান্ড সিটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের বাণিজ্য অর্থায়ন সুবিধা দিয়ে সরবরাহ চেইন নির্বিঘœ রেখে পণ্যের প্রবাহকে সুলভ ও সহজতর করবে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সম্ভব হবে। ওপেক ফান্ড আমদানি ও রফতানি প্রতিষ্ঠানগুলিকে সহায়তা করবে, বিশেষ করে কৃষি ও গ্রিন এনার্জি শিল্পের সঙ্গে যারা রয়েছেন, তাদের আমদানি অর্থায়নকে আরো সহজ ও সাশ্রয়ি করবে।
সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘ওপেক ফান্ডের সঙ্গে এই কৌশলগত অংশীদারিত্বে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে সিটি ব্যাংকের যে অঙ্গীকার, আমাদের সঙ্গে ওপেকের এই সহযোগিতার সম্পর্ক তাকে আরও শক্তিশালী করবে। ওপেক ফান্ডের দেয়া এই বাণিজ্য আর্থিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের আমদানি ও রফতানির সাথে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলিকে, বিশেষ করে কৃষি এবং গ্রিন এনার্জির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে আরও সুলভ ও সক্ষম করে তুলতে পারবো। এই লক্ষ্য অর্জনে ওপেক ফান্ডের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ।
ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওপেক ফান্ড) হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একমাত্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যেটি তার সদস্য দেশগুলি থেকে সদস্য নয় এমন দেশগুলিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সংস্থাটি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে উন্নয়নশীল দেশের অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে।