‘বকেয়ার কারণে খুঁড়িয়ে চলছে গ্যাস খাত’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গ্যাসের বিল বাবদ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। বকেয়ার কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম।

বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সচিব বলেন, ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বকেয়ার হিসাব গত এপ্রিল পর্যন্ত। ওই হিসাবের মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১০ হাজার ২২৪ কোটি, আইপিপির (বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র) কাছে ৫ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা এবং সার কারখানার কাছে পাওনা ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ বকেয়ার কারণে নানা রকম সংকট তৈরি হচ্ছে।

বকেয়া বিল আদায়ের জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দিয়েছেন। প্রয়োজনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্য অনুযায়ী গ্যাসভিত্তিক ৩০টি সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ৭ হাজার ৬৮২ মেগাওয়াট, অন্যদিকে বেসরকারি ২৭টি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৪ মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে থাকা ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

গ্যাস নিয়ে এসব কোম্পানি বিপিডিবিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কিন্তু বছরেরও বেশি সময় ধরে বিপিডিবি আইপিপিগুলোর নিয়মিত বিল পরিশোধ করছে না। সংস্থাটির কাছে আইপিপিগুলোর বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া পড়ায় আইপিপিগুলোও এখন গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে পারছে না।

গ্যাস বিলের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দামও বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণায়ের কাছে পদ্মা অয়েল কোম্পানির বকেয়া দাঁড়িয়েছে (এপ্রিল ২০২৪) ১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকার ওপরে। মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনায় বকেয়া আদায়ের তাগাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।