ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি’র শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৩ সালের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছেন, যার ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড আকারে বণ্টিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসানের সভাপতিত্বে এজিএমে আরো উপস্থিত ছিলেন- ভাইস চেয়ারপারসন ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ এবং পরিচালক আসিফ সালেহ, ফাহিমা চৌধুরী, ফারজানা আহমেদ, ডা. জাহিদ হোসেন, শামেরান আবেদ, ডা. মোস্তফা কে. মুজেরী, সালেক আহমেদ আবুল মাসরুর, আনিতা গাজী রহমান, চৌধুরী এমএকিউ সারওয়ার এবং লীলা রশিদ।
সভায় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং ব্যাংকের প্রতি অবিচল আস্থার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।
কোম্পানি সচিব এম মাহবুবুর রহমান, এফসিএস এজিএম পরিচালনা করেন।
ব্যাংকটি ২০২৩ সালে সমন্বিতভাবে ৮শ ২৮ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করে। এর ফলে ২০২২ সালের সমন্বিত কর-পরবর্তী মুনাফা ৬শ ১৪ কোটি টাকার তুলনায় ২০২৩ সালে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
২০২২ সালের তুলনায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ২০২৩ সালে ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবেই ৭শ ৩০ কোটি টাকা মুনাফা করে। ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫শ ৭৬ কোটি টাকা।
সভায় ব্র্যাক ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের এসব বিষয়ে জানায়।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান তাঁর বক্তব্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকের শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তাঁর তুলে ধরা বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- ২০২৩ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক আমানত ও ঋণে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি।
তিনি শেয়ারহোল্ডার, রেগুলেটর, সহকর্মী এবং স্টেকহোল্ডারদের তাঁদের সমর্থন এবং অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক আরো বেশি সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।