অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে ‘নগদ’: সিটিটিসি প্রধান

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ‘নগদ’ অসাধারণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

শনিবার (৩০ জুলাই) ডাক বিভাগের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এবং সিটিটিসির এক মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

নগদ ও সিটিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন নগদের চিফ এক্সটার্নাল এফেয়ার্স অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ কাওসার শওকত আলী (অব.), নগদের এক্সটার্নাল এফেয়ার্স বিভাগের উপদেষ্টা মো. মাহবুব আলম। এছাড়া সিটিটিসি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ হাবীবুন নবী আনিছুর রশিদ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মিশুক চাকমা প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে নগদ অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা এগিয়ে এসেছে। তাদের এই অগ্রযাত্রা অনন্য। চার্জ কম ও সেন্ড মানি ফ্রি হওয়ায় তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

ডিজিটাল প্রতারণা বন্ধ করার বিষয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য দরকার স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আর সে জন্যই কাজ করে যাচ্ছে সিটিটিসি। ডিজিটালাইজেশন যত বাড়ছে প্রতারকরা ততো ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কিন্তু সিটিটিসি বসে নেই। আমরা আরও শক্তিশালী করছি নিজেদের। আমাদের দক্ষ কর্মকর্তাদের হাত থেকে এই প্রতারকরা রেহাই পাচ্ছে না। আমরা নিয়মিত প্রতারকদের দমন করে আসছি। সেজন্য আমরা নগদ-এর কাছ থেকে আরও সহযোগিতা আশা করি।

বিজ্ঞাপন

নগদের ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক আমাদেরকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। নগদকে আমি আগাম অভিনন্দন জানাতে চাই ডিজিটাল ব্যাংকিং শুরু করার পরিকল্পনা রাখায়।

নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ একসময় অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে ছিলো। নগদ যাত্রা শুরু করার পর সেই হার কমে ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। পরিসংখ্যানই বলে নগদ বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে আনার ব্যাপারে বিশাল ভূমিকা রাখছে। নগদ এখন সাড়ে ছয় কোটি গ্রাহকের বিশাল পরিবার। আমরা এখন অর্থনীতিতে আরও ডিজিটালাইজেশনের পথে চলতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ডিজিটাল করছি, তত বেশি ডিজিটাল অপরাধীদের তৎপরতা বাড়ছে। আর তাদের দমনের ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে সিটিটিসি। সকল অপরাধের বিপক্ষে তৎপর থেকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সিটিটিসিকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্যে সিটিটিসি’র কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নগদের চিফ এক্সটার্নাল এফেয়ার্স অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ কাওসার শওকত আলী (অব.)। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নগদের হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স জাহিদুল ইসলাম সজল।

মতবিনিময় শেষে মনোমুগ্ধকর সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গীত শিল্পী অনুপমা মুক্তি ছাড়াও অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ সঙ্গীত পরিবেশন করেন।