বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ: বিসিআই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। এমন কঠিন সময়ে এরূপ উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক হলেও সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও যথাযথ পরিকল্পনা নিশ্চিত করা না গেলে বাস্তবায়নে সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।

শনিবার (১৮ জুন) বিসিআই আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট (২০২২-২০২৩) এর চূড়ান্ত করার আগে কিছু সংশোধন প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ও বিসিআই সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, এমসিসিআই সভাপতি এবং বিসিআই এর পরিচালক ও সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বিসিআই সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠির জন্য রেশনিং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তাব করছি। আবার বাজেটের ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ কোটি টাকার উপর চৎড়ারংরড়হ-কে শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে বলে মনে করি। তাই মনে হয় প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়নসহ অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

বিসিআই মনে করে বর্তমান সংকটময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে সকল ক্ষেত্রে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন, বিপণন এবং পরিবহন পর্যায়ে অপচয় ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। যানজট নিরসন, বিয়ে-সাদী, বাড়িতে, অফিস সমূহে, মসজিদে যতটুকু দরকার ততটুকু ইলেকট্রিসিটি, পানি ব্যবহার, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পদ অপচয় কমিয়ে এনে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা জরুরি। আবার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

বিজ্ঞাপন

পারভেজ বলেন, বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন বর্তমান সংকটময় বিশ্ব অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আমাদের মতন আমদানি নির্ভর দেশগুলোতে। প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্পের ন্যায় সব ধরনের রফতানিমুখী কোম্পানির কর হারও ১২ শতাংশ করা হয়েছে যা বিসিআই এর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন। তবে রফতানি ক্ষেত্রে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রফতানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রয়োজনে ডলারের মূল্য অবমূল্যায়ন করে প্রবাসী আয়কে আরও উৎসাহিত করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পূনর্বিবেচনার জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়।