ক্ষমা চাইলেন পথে বেড়া দেয়া প্রভাবশালীরা
বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং এলাকার ৫ পরিবারের সদস্যদের চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তায় জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছিলেন প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় তালতলী উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই বেড়াটি সরিয়ে রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত ওই প্রভাবশালীরা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়াটি সরিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেন।
জানা গেছে, জনৈক সোনা মিয়া ফকির খতিয়ানসহ ওই জমি পার্শ্ববর্তী গ্রামের আয়জদ্দি ও বয়জদ্দির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু সোনা মিয়া ও তার ছেলে মাহবুব ফকির এখন ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন।
এদিকে ২০১৫ সালে তৎকালীন ইউপি সদস্য শহীদ শিকদার পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের চলাচলের জন্য ওই জমির উপর দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা তৈরি করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি সোনা মিয়া ও তার ছেলে জমিতে বেড়া দেয়ায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যদের চলাফেরা করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমে ‘রাস্তায় বেড়া দেয়ায় দুর্ভোগে ৫ পরিবার’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপায়ন দাস শুভর। তিনি আজ দুপুরে ৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপর সেই প্রভাবশালীরা ক্ষমা চেয়ে বেড়াটি উঠিয়ে দিয়ে রাস্তাটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রশিদ তালুকদার, সুলতান, দোলোয়ার, আউয়াল ও দুলাল জানান, তাদের চলাচলের জন্য ওই রাস্তাটি খুলে দেয়া হয়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলেন তারা।
অভিযুক্ত মাহবুব বলেন, ‘আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা ক্ষমা চাচ্ছি।’
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপায়ন দাস শুভ বলেন, ‘বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমে ওই খবরটি পড়ে বিষয়টি জানতে পারি। পরে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে বেড়াটি সরিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: রাস্তায় বেড়া দেয়ায় দুর্ভোগে ৫ পরিবার