বনভোজনের অন্তরালে সেই বাল্যবিয়ে বন্ধ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

বনভোজনের অন্তরালে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে দিতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন বর-কনের পরিবার।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম হলো রংমহল। এ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিনারুল ইসলাম মিনুর মেয়ে হলো মিনতী খাতুন। সে তেঁতুলবাড়ীয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পার্শ্ববর্তী রামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার শওকত আলীর ছেলে আলামিন হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। মিনতীর বাবার বাড়িতে আজ এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের বাধার মুখে পড়ে বিয়ে পণ্ড হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় ওই বনভোজনের নাটক সাজিয়েছে কনে পক্ষের লোকজন।

এদিকে খবর পেয়ে ডিসি ইকো পার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুকুমার সরকার। এ সময় অনেকে পালিয়ে গেলেও বরসহ উভয় পক্ষের অভিভাবকদের আটক করা হয়। পরে বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই বিষয়ে রায় দেন।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকুমার সরকার জানান, বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবে না। এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। আইন অমান্য করে তারা যদি বিয়ে দেয় তাহলে তাদের আটক করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।

আরও পড়ুন:বনভোজনের অন্তরালে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে!