শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট

লঞ্চ-স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

  • রফিকুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিমুলিয়া থেকে স্পিডবোটে কাঁঠালবাড়ি আসছেন ঘরমুখো মানুষ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শিমুলিয়া থেকে স্পিডবোটে কাঁঠালবাড়ি আসছেন ঘরমুখো মানুষ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শিমুলীয়া থেকে কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ, ফেরি, স্পিডবোট ছিল যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি যানবাহনে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায়ের আভিযোগ রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের। লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ফেরিতে চাপ নেই, লঞ্চ-বোটে ঠাঁই নেই

যাত্রীদের অভিযোগ, শিমুলীয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে ৩৫ টাকার টিকিট দিয়ে আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। স্পিডবোটে ১৩০ টাকার ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ২০০ টাকা করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565438699151.jpg

বিজ্ঞাপন

এদিকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসেও যাত্রীরা ফের পড়ছেন বাড়তি ভাড়ার দৌরাত্ম্যে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী প্রতিটি মহাসড়কে ও আঞ্চলিক সড়কের যানবাহনে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

স্পিডবোট যাত্রী সেলিম মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বাসে গুলিস্থান থেকে শিমুলিয়া পৌঁছতে ৭০ টাকার ভাড়া নিয়েছে ২০০ টাকা। পদ্মা পার হতে স্পিডবোটেও ১৩০ টাকার ভাড়া নিলো ২০০ টাকা।’

আরও পড়ুন: কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

লঞ্চযাত্রী আক্তার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে এসেছি, লঞ্চের টিকিটে লেখা ৩৫ টাকা আর আমাদের কাছ থেকে তারা ভাড়া নিল ৪০ টাকা। এটা কেউ দেখছে না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565438715556.jpg

এদিকে, কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে খুলনাগামী মাইক্রোবাস চালক আসাদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঈদের আগে এখান থেকে খুলনার ভাড়া ৩০০টাকা, তবে খালি আসতে হয়। তাই আমরা ৬০০ টাকা নিচ্ছি।’

আরও পড়ুন: পদ্মায় নিখোঁজ গরুবোঝাই ট্রলার উদ্ধার

ঘাটে দায়িত্বরত শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঘাটের পরিস্থতি স্বাভাবিক। স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা এবং লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সকালের চেয়ে বিকেলের দিকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565438732823.jpg

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঈদে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী রয়েছে। কোথাও ভাড়া বেশি বা অন্য কোনোভাবে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’