মেহেরপুরে ছোট গরুর চাহিদা বেশি
চুয়াডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামের গরু পালনকারী জাহাঙ্গীর আলম। চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের বামুন্দী-নিশিপুর হাটে তিনি গরু বিক্রি করতে এসেছেন। তার গরুর আনুমানিক মাংস হবে সাড়ে চার মণ। তিনি গরুটির দাম ধরেছেন ৯৫ হাজার টাকা।
মেহেরপুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশু হাট হচ্ছে বামুন্দী-নিশিপুর পশুর হাট। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা জাহাঙ্গীর আলমের গরুর দাম উঠেছে ৮৫ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীর আলমের মতো অনেকেই আজ তাদের গরু হাটে তুলেছেন। বিক্রেতারা জানান, হাটে ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন হাটে ব্যাপারী অনেক কম। স্থানীয়রা এখন কোরবানির জন্য গরু বেশি করছেন। তাদের চাহিদা ১২০ কেজি থেকে ২৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের গরুগুলো।
গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের সোহেল রানা বলেন, আমি একটি গরু কিনেছি যার ওজন হবে সাড়ে তিন মণ। দাম পড়েছে ৭৬ হাজার টাকা।
অন্যান্য ক্রেতারা জানান, প্রতিটি গরু আনুমানিক ১৯/২০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর বাজারে গরুর সংখ্যা অনেক কম। তাই গতবছরের চেয়ে দাম বেশি পড়েছে এবার।
হাটের ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার হাট বসে। সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদুল আযহা তাই ঐ দিনের হাট বসবে একদিন আগে রোববারে (১১ আগস্ট)।