হিলি চেকপোস্টে রাজস্ব বেড়েছে, তবে বাড়েনি সেবার মান
দ্বিতীয় বৃহত্তর হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বেড়েছে রাজস্ব আয়। গত অর্থবছরে ৫ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, হিলি চেকপোস্টে যাত্রীদের সেবার মান বাড়েনি।
জানা গেছে, কলকাতা, চেন্নাই, মাদ্রাজ, দার্জিলিংসহ ভারতের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে হিলির সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ অনেক ভালো রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী, শিক্ষার্থী, ভ্রমণকারী এবং দেশি-বিদেশি নাগরিক সহজ পথে চলাচলের জন্য এই হিলি চেকপোস্ট বেছে নিয়েছে। এতে এই পথে যাত্রী পারাপার বেড়েছে। তবে পিছু ছাড়ছে না সেই সনাতন পদ্ধতিতে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি।
হিলি চেকপোস্টে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পাসপোর্টধারী যাত্রী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, চেকপোস্টটির একমুখী পথে চলে পণ্য আমদানি-রফতানি। এ কারণে তাদের মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এখানে নেই কোনো ব্যাংক সুবিধা, রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা।
হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এই পথ থেকে প্রতি বছর অনেক রাজস্ব আদায় করে সরকার। কিন্তু এখানে ব্যাগ তল্লাশিতে নেই কোনো স্ক্যানার মেশিন, ভ্রমণ কর জমা দিতে নেই সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিস, নেই ভালো কোনো হোটেল বা রেস্টুরেন্ট।
তিনি আরও জানান, যদি সেবার মান বাড়ানো হয়, তবে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী যাতায়াত আরও বেড়ে যাবে। সরকার পাবে দ্বিগুণ রাজস্ব।
হিলি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ লাখ ৯০ হাজার ২২৯ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক হিলি চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেছে। এর মধ্যে করমুক্ত ১ হাজার ৬৩৪ জন। এছাড়া ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৫ জন বহির্গমন যাত্রীদের মাধ্যমে ভ্রমণ কর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা।