দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় ৩ শতাধিক যানবাহন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে গরুবাহী ট্রাকগুলো/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে গরুবাহী ট্রাকগুলো/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন। ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাই বেশি। গরুবাহী ট্রাকগুলো আগে পার করায় ঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বেড়েছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পদ্মা নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে সড়কেই। সারা রাত কেটেছে তাদের বাসের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565151626064.gif

ঈগল পরিবহনের যাত্রী আকরাম হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে নদী পারের জন্য এখানে এসেছি। সারা রাত পরিবার নিয়ে বাসের মধ্যে রাস্তায় কেটেছে। এখনো ফেরির দেখা পাইনি।’

দৌলতদিয়া ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আবুল বাশার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কোরবানি ঈদেরে জন্য আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পশুবাহী ট্রাকগুলো পার করছি। ঘাটে পশুবাহী ট্রাকের চাপ এখন একটু বেশি। তাই ঘাটে এসে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565151639367.gif

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ঘাটে এখন পশুবাহী ট্রাকের চাপ একটু বেশি। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি চলছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি ফেরি বসে আছে। আজ আরও একটি ফেরি এই বহরে যুক্ত হবে। ঘাটে এখন যে যানজট আছে, তা দুপুরের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’