কাঁঠালবাড়ীতে বিকল্প চ্যানেলে চলছে ফেরি, লাগছে দ্বিগুণ সময়

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া। ব্যস্ততম নৌরুট হওয়া সত্ত্বেও বছরের বিভিন্ন সময়ে ফেরি চলাচলে সংকট লেগে থাকে। এর মধ্যে নাব্যতা সংকট অন্যতম। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি একটা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো যাত্রীদের পারাপারে ভোগান্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেলে ফেরি চলাচল বাধার মুখে পড়ে। প্রায় দুই সপ্তাহের মতো তিন থেকে চারটি ফেরি দিয়ে পরিবহন পারাপার করে কর্তৃপক্ষ। বাকি ফেরিগুলো স্রোত উপেক্ষা করে চলতে না পারায় বন্ধ রাখা হয়।

পদ্মার পানি কমতে থাকলে স্রোতের সমস্যা কাটিয়ে উঠলেও নাব্যতা সংকট নতুন করে ফেরি চলাচলে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের চ্যানেল মুখ পলি জমে ভরাট হয়ে গেলে চ্যানেলটি দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মূল চ্যানেলটিতে নাব্যতা সংকট তৈরি হওয়ায় গত ৩০ জুলাই রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ বিকল্প আরেকটি চ্যানেল তৈরি করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখে। বর্তমানে বিকল্প চ্যানেল দিয়েই ফেরি চলাচল করছে।

তবে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করায় স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে। এতে করে কমে গেছে ফেরির নিয়মিত ট্রিপের সংখ্যা। ফলে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষামান পরিবহনের দুর্ভোগ কমছে না। আর পার হওয়া যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, বর্তমানে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে চারটি রোরো, পাঁচচটি কে-টাইপ ও দুটি মিডিয়াম ফেরি ২৪ ঘন্টাই চলাচল করছে। শুধু দিনের বেলায় আরও পাঁচটি ডাম্প ফেরি চলে, যা দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে, ঈদের আগে মূল চ্যানেলটি চালু করা সম্ভব না হলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (মেরিন, মাওয়া),আহম্মদ আলী বলেন, ‘বিকল্প চ্যানেলে দিয়ে মাঝে মাঝে ফেরি চলাচল করে। এতে আগের চেয়ে একটু বেশি সমম ব্যয় হচ্ছে। যা মূল চ্যানেল দিয়ে আগে ব্যয় হতো দেড় থেকে ২ ঘণ্টা। সময় বেশি লাগায় যাত্রীদের একটু সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে রাতের বেলায় এ সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। ঈদের আগে মূল চ্যানেল চালু না করা গেলে সমস্যা থেকেই যাবে।’

নাব্যতা সংকট নিরসনে বিআইডব্লিউটিএ শিগগিরই কাজ করবে বলেও জানান তিনি।