গাইবান্ধায় ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বন্যার্তরা

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি কমে গেছে। জেগে উঠেছে বেশকিছু চরাঞ্চল। এ অঞ্চলের আশ্রিতরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যা কবলিত মানুষদের।

এবারের বন্যায় গাইবান্ধার সাতটি উপজেলার অন্তত ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়। এসবের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, ফসলি জমি, পুকুরের মাছ, টিউবওয়েল, রাস্তা-বাঁধ ও ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছ। এখনও নিম্নাঞ্চলগুলো পানিবন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564385410871.jpg
 অনেকে বসতভিটায় উঠলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না

 

এদিকে পানির নেমে যাওয়ায় চারিদিকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা কবলিত মানুষরা। সেই সঙ্গে অনেকে বসতভিটায় উঠলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না। এছাড়াও দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। শ্রমজীবী পরিবারগুলোর আহাজারিও কমছে না। বন্যায় তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল রয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আকবর আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এবারের বন্যায় ঘরবাড়িসহ সহায় সম্বল হারিয়েছি। ১৫ দিন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করার পর গতকাল বসভিটাতে উঠেছি। এখন কোনমতে দিনাতিপাত করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বন্যা কবলিত মানুষদের নানা ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সহায়তা চলমান থাকবে।