মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মরদেহের সামনে স্বজন ও প্রতিবেশীরা, ছবি: সংগৃহীত

মরদেহের সামনে স্বজন ও প্রতিবেশীরা, ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রাম থেকে স্বামী দাউদ হোসেন (৬০) ও স্ত্রী সাহিদা খাতুনের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দাউদ হোসেন গলায় দড়ি দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তার পরিবার ও পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে গাংনী থানা পুলিশ স্বামী স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ডুমুর গাছে ভ্যান চালক দাউদ হোসেনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীরা। দড়ি কেটে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পর্যন্ত আনার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় প্রতিবেশীরা তার বাড়ির উঠানে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পান। তাদের একমাত্র ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকেন।

নিহত শাহিদা খাতুনের ছেলের বউ মমতাজ খাতুন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিকেলে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে তাদের মরদেহ দেখতে পাই।’

প্রতিবেশীরা জানান, দাউদ পেশায় ভ্যানচালক। শারীরিক অক্ষমতার কারণে তিনি ঠিকমত ভ্যান চালাতে পারেন না। ফলে দরিদ্র পরিবারে অভাব অনটন লেগেই থাকে। একটি এনজিওতে তাদের ঋণ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দেনার দায়ে জর্জরিত ছিলেন দাউদ হোসেন। ঋণের কারণে তার পরিবারে কলহ চলছিল। এর জের ধরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা। তবে ঘটনার সময় বৃষ্টি হওয়ায় প্রতিবেশীরা কেউ বিষয়টি দেখতে পাননি।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ও গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘স্থানীয় ও পরিবারের লোকজনের ভাষ্য এবং স্বামী স্ত্রীর মরদেহ প্রাথমিক তদন্ত করে স্ত্রীকে হত্যার পরে স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্ত হলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’