গাইবান্ধায় ভাসমান গোয়াল ঘর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পানির ওপর মাচা বানিয়ে গোয়াল ঘর তৈরি করা হয়েছে গাইবান্ধায়/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পানির ওপর মাচা বানিয়ে গোয়াল ঘর তৈরি করা হয়েছে গাইবান্ধায়/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চলমান বন্যায় গাইবান্ধায় পানির ওপরে ভাসছে কয়েক হাজার গবাদিপশু। বন্যায় প্লাবিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা সব হারিয়ে এখন গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে চরম বিপদে পড়েছে। অনেকে পানির ওপরে মাচা বানিয়ে তার ওপর গরুছাগলগুলো রাখছে।

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি সাদুল্লাপুর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নের পৌনে চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় সোয়া লাখ পরিবারের ঘরবাড়ি ও সহায় সম্বল
গ্রাস করে নিয়েছে বন্যার পানি।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563525527618.gif

নদ-নদীর পানিতে ভেসে গেছে কৃষকদের গবাদি পশুপাখি। অবশিষ্ঠ যেসব গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি রয়েছে, এ নিয়ে চরম বেকায়দা পড়েছে তারা। একদিকে নিজেদের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব। অন্যদিকে গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির শিকার মানুষগুলো এখন যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

বন্যাক্রান্ত ফুলছড়ির উদাখালি এলাকার খালেক মিয়া নামের এক খামারি বলেন, ‘গরু মোটাতাজাকরণ ও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য খামার ব্যবসা করি। কিন্তু এবারে বন্যার পানি উঠায় গরুগুলো রক্ষার জন্য একটি বাজারের সেড ঘরে ও কিছু গরু পানির উপরে রাখা হয়েছে। এর ফলে গরুগুলো রোগাক্রান্ত হতে পারে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563525542342.gif

সাজেদুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘চারদিকে পানির কারণে গরু-ছাগলগুলো রাখার জায়গা না থাকায় এলাকার বিভিন্ন উঁচু ব্রিজে ও পানির উপরে মাচা বানিয়ে রাখা হচ্ছে।’

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানিয়েছে, গবাদি পশুপাখিগুলো বেশি দিন উন্মুক্ত জায়গায় রাখা হলে রোগাক্রান্ত হতে পারে। এ বিষয়ে কৃষকদের নানান পরামশ দেওয়া হচ্ছে।’