পানির নিচে আমনের বীজতলা, বিপাকে কৃষক

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পানির নিচে আমনের বীজতলা। ছবি: বার্তা২৪.কম

পানির নিচে আমনের বীজতলা। ছবি: বার্তা২৪.কম

টানা বৃষ্টির কারণে আমনের বীজ নিয়ে শঙ্কায় আছে বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার প্রায় ৫১ হাজার কৃষক। গত ছয় দিন ধরে অতি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর স্লুইসগেটগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ওই দুই উপজেলায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে আমনের বীজতলা নিয়ে বিপাকে রয়েছে কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় এ বছর ৩৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আমতলীতে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর ও তালতলীতে ১৫ হাজার হেক্টর। জমি চাষাবাদের জন্য আমনের বীজতলা প্রস্তুতের এখন উপযুক্ত সময়। আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে পুরো মাস চলে বীজতলা প্রস্তুতের কাজ। ইতোমধ্যে কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। তবে গত ছয় দিনের অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এতে প্রায় ৫১ হাজার কৃষক আমনের বীজ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। কারণ অনেক কৃষক ঘরে আমনের বীজ ভিজিয়ে রেখেছে। পানি থাকায় সেখানে বীজ ফেলতে পারছে না তারা। এতে অনেকের বীজ পচেও গেছে।

কৃষকরা জানান, পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছে না। আমতলী-তালতলী দুই উপজেলায় ২৫টি স্লুইসগেট রয়েছে। ওই স্লুইসগেট দিয়ে ভালোভাবে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এছাড়া অনেক স্লুইসগেট বন্ধ করে প্রভাবশালীরা মাছ শিকার করছে। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563157470028.jpg

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, আজিমপুর, ঘটখালী, আমড়াগাছিয়া, চাওড়া, পশ্চিম আমতলী, ঘোপখালী, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশুরবুনিয়া, চরকগাছিয়া, সেকান্দারখালী, ফকির বাড়ী, খলিয়ান, খুড়িয়ার খেয়াঘাট ও তালতলীর পচাঁকোড়ালিয়া, কড়াইবাড়িয়া, শারিকখালী, ছোটবগী, গাবতলী, মৌপাড়া, চরপাড়া, তালতলী, ফকিরহাট, নিশানবাড়িয়া, লেমুয়া, গাজীকালু, বেহালা ও আলীর বন্দরে জলাবদ্ধতায় বীজতলা ডুবে রয়েছে।

তালতলীর পচাঁকোড়ালিয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘বৃষ্টির আগে এক মণ ধানের বীজ জমিতে ফেলেছি। ওই বীজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আরও দেড় মণ ধানের বীজ ঘরে ভেজানো রয়েছে। কী হয় জানি না।’

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম জানান, উঁচু স্থানের বীজতলার বীজ ভালো আছে। তবে নিচু স্থানে পানি জমে আছে। দুই একদিনের ভেতরে পানি সরে গেলে বীজের কোনো ক্ষতি হবে না।