তিস্তা ব্যারেজে রেড এলার্ট, চলছে মাইকিং

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টেফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তায় বিপদসীমার ৪৫ সে.মি. ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

তিস্তায় বিপদসীমার ৪৫ সে.মি. ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড এলার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি আসায় তিস্তা ব্যারেজ হুমকির মুখে পড়েছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে যেকোনো মুহূর্তে ফ্লাট বাইপাস কেটে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে তিস্তার তীরবর্তী লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাত ৯টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫৩ দশমিক ০৫ মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ মি.) বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ১০টায় তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বিকাল হতে আবারো বেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562947931342.jpg

এদিকে পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তিস্তা ব্যারেজের সব কয়কটি গেট খুলে দিলেও পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফ্লাট বাইপাশ কেটে দেওয়া হলে তিস্তার পানি লালমনিরহাটসহ ৫টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে পড়বে।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত পাঁচদিন ভারী বৃষ্টিতে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে বড় সমস্যায় পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা। চার দিকে অথৈ পানির কারণে গবাদি পশুপাখি নিয়ে অনেকটা বিপাকে চরাঞ্চলের খামারি ও চাষিরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562947953514.jpg

উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট এ বন্যায় পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়ের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী এলাকার ব্রিজ কালভার্ট ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। ভেসে যাচ্ছে শত শত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয়েছে চাষিদের বাদাম, ভুট্টা ও সবজিসহ নানান ফসল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/12/1562947972888.jpg

চরাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষ শিশুখাদ্য ও নিরাপদ পানির সমস্যায় পড়েছেন। তিন দিন পানিবন্দি থাকলেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ বা শুকনো খাবার পৌঁছানো হয়নি বলে পরিবারগুলোর অভিযোগ।

তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, সকালে পানি কমে গেলেও বিকালে তার বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করে বলা হয়েছে।