টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, সরানো হচ্ছে ঘরবাড়ি

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন শুরু হয়েছে, ছবি: বার্তা২৪

টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন শুরু হয়েছে, ছবি: বার্তা২৪

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদের তীরবর্তী কামারজানি ইউনিয়নের রায়দাসবাড়ী গ্রামটি বিলীন হতে চলেছে। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের রায়দাসবাড়ী গ্রামটিতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদের গর্ভে চলে গেছে। অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ভিটে মাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/08/1562603274796.jpg

নদের অব্যহত ভাঙনে ওই এলাকার জিইউকে সংস্থার পরিচালিত একটি স্কুল বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরও অর্ধশত ঘরবাড়ি। সব মিলে ভাঙন আতঙ্কে দিন-রাত কাটছে রায়দাসবাড়ী গ্রামের মানুষের। তাদের আবাসনসহ দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

ভাঙন এলাকার বাসিন্দা আবদুল আজিজ ও মানিক মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নদের অব্যাহত ভাঙনে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যের জমিতে গিয়ে আপাতত অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রেজাউনবী ও মানিক মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করে নিয়েছে। সব হারিয়ে এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনযাপন করছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/08/1562603289890.jpg

কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পরিষদের সদস্য জেলাল উদ্দিন ও উদ্যোক্ত মাহাবুর রহমানকে নিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এর আগে ত্রাণ হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।’

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নদী ভাঙন শিকার মানুষদের সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে।’