এখন বর্ষা মৌসুম, আষাঢ় মাসও শেষের দিকে। তবুও তেমন একটা দেখা মিলছে না বৃষ্টির। তবে আরও কয়েকদিন পর বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। ফলে রোদ-বৃষ্টির অন্যতম অনুষঙ্গ ছাতার ব্যবহার বাড়ছে। যাদের ছাতা নষ্ট তারা ছাতার কারিগরের কাছে এবং যাদের ছাতা নেই তারা নতুন ছাতা কিনছেন। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে কুষ্টিয়ার ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের।
কুষ্টিয়ার ছাতা কারখানার মালিক, কারিগর ও ব্যবসায়ীরা জানান, আষাঢ় মাস শেষ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে ছাতার বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিক্রি বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের। ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ছাতা তৈরির কাজ।
শহরের বড়বাজার, মজমপুর ও এন এস রোডে ছাতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও সাধারণ ক্রেতারা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ছাতা। শিশুদের জন্য আছে বাহারি নকশার ছাতাও।
কুষ্টিয়ার দেশওয়ালীপাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে সোয়ান ব্যান্ডের ‘হাঁস মার্কা’ ছাতার কারখানা। বর্তমানে সেখানে কাজ করেন ২৫-৩০ জন কারিগর। যাদের কেউ ছাতার কাপড় কাটেন, কেউ ভাঁজ করেন, আবার কেউ ছাতায় হ্যান্ডেল সংযুক্ত করার কাজ করেন।
ষাটোর্ধ্ব রেজাউল ইসলাম জানান তিনি তিন যুগের বেশি সময় ধরে কারখানাটিতে কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।
কারিগর বাচ্চু মিয়া জানান, আগে দৈনিক মজুরি হিসাবে কাজ করলেও এখন ডজন হিসাবে ছাতা তৈরি করেন। সারাদিনে প্রত্যেক কারিগর এক ডজন ছাতা তৈরি করতে পারেন। যার জন্য তারা প্রত্যেকে দৈনিক ৫-৬শ’ টাকা মজুরি পান।
হাঁস মার্কা ছাতার ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান মিয়াজী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছাতা বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি ছাতা আমদানিকারকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ছাতা কিনে নিয়ে যান।’
মজমপুর গেটের মেসার্স ইসলাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবুজর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারি ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতার চাহিদা বেশি, যা চীন থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৫০-৩৫০ টাকা, দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা আড়াইশ সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় কেবল আমরাই ছাতা তৈরি করি। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে এই ছাতা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।’
ছাতা কিনতে আসা কুষ্টিয়ার লক্ষ্মীপুর খাতের আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আ. সাত্তার বলেন, ‘আমার স্ত্রী চাকরি করে, মেয়ে কেবল স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। এখন বৃষ্টির সময়, তাই পরিবারের সবার জন্য ছাতা কিনতে এসেছি।’
কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।
রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।
ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’
নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।
এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।