হিংস্র হয়ে উঠছে ধরলা নদী

  • নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভাঙনের কবলে ধররা নদী, ছবি: বার্তা২৪

ভাঙনের কবলে ধররা নদী, ছবি: বার্তা২৪

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই হিংস্র হয়ে উঠছে ধরলা নদী। লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট-মোঘলহাট ইউনিয়নের বেশ কয়কটি গ্রামের ইউনিয়নে ধরলার ডান তীর ইতোমধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে। গত দু’দিনে বাড়িসহ বেশ কিছু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ধরলা তীরবর্তী মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার (২৯ জুন) ভোর থেকে হঠাৎ করে আবারও পানি বেড়ে হিংস্র হয়ে উঠেছে ধরলা নদী। দিনে শান্ত থাকলেও রাতে ধরলার হিংস্রতা বাড়ে। তাই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় নদী পাড়ের মানুষদের।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বসতবাড়ি। বর্ষার আগে ভাঙন রোধ করা না গেলে ইটাপোতা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, শীবেরকুটি বাজার, বডার গার্ড (বিজিবি) ক্যাম্প, মোঘলহাট বাজার, মোঘলহাট রেলস্টেশন, লালমনিরহাট মোঘলহাট সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561803046659.jpg

এদিকে, কয়েকদিন আগে কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারের শীবের কুটি চরের পাকা রাস্তার একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এখনো যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে পারেনি পাউবো। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় রাস্তা পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। তবে পাশেই বোমা মেশিন দিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছে পাউবো। কিন্তু ধরলার হিংস্রতায় মাটি ও বালু আটকানো সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী জানান, ধরলার কড়াল গ্রাসে ছয়বার বসত বাড়ি সরাতে হয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনো ত্রাণ পাননি। গত বছর তালিকা করে নিয়ে গেলেও ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এ বছরও যেকোনো সময় বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561803063888.jpg

লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ধরলায় হঠাৎ পানি বাড়ায় এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এরই মধ্যে আপদকালীন সময়ের একটি প্রকল্প চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’