মুষলধারে বৃষ্টিতে ধরলা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির চাপে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারের শীবের কুটি চরের পাকা রাস্তার একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। ফলে চার গ্রামের ১০হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। রাস্তা পারাপারে ব্যবহার হচ্ছে নৌকা।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলে ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৯টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে ধরলার পানি এক দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। এ কারণে বুধবার সকালে ১১০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। ফলে রাস্তার পূর্ব পাশের বোয়ালমারী চর, খারুয়ার চর, বাশপচাই, দক্ষিণ শিবেরকুটি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে যান।
লালমনিরহাট শহরের একমাত্র সড়কের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন ওই চরাঞ্চলবাসী।
এদিকে, লালমনিরহাট শহরের বেশকয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাময়িক চলাচলের জন্য সেচ্চাশ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সওজকে।
সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার জি.আর সরোয়ার বার্তা২৪.কমকে জানান, চরাঞ্চলের মানুষদের একমাত্র সড়ক ভেঙে যাওয়া সড়ক যোগাযোগ সচল করতে বালুর বস্তা ফেলে মেরামত করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে কালভার্ট ভেঙে গেছে। তবে বিকেল থেকে ধরলার পানি কমতে শুরু করেছে। যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে যৌথ কাজ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সওজের শ্রমিকরা।