পঞ্চগড়ের কাঁঠাল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে
বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কাঁঠালের ব্যাপক ফলন হয়। ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর এখানকার কাঁঠাল বিভিন্ন জেলায় রফতানি করা হয়। খুচরা বাজারে একটি পাকা কাঁঠাল ১০০-২০০ টাকায় এবং পাইকারি ৬০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসব কাঁঠাল কিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় রফতানি করেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসন্ত-গ্রীষ্মকালে কাঁচা ও গ্রীষ্ম-বর্ষাকালে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। একটি গাছে অনেক কাঁঠাল ধরে। ফল বিক্রি করে বেশ মুনাফা হয়।
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার মমেনা খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিজেদের জন্য পাঁচটি কাঁঠাল গাছ লাগিয়েছিলাম কিন্তু চাহিদার অতিরিক্ত ফল হওয়ায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেই।’
জেলার আটোয়ারী উপজেলার বাসিন্দা কেরামত আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের এখানে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করা হয় না। তাছাড়া বাড়তি পরিচর্যা প্রয়োজন না হওয়ায় সবাই বাড়ির আঙিনায় কাঁঠাল গাছ লাগান। মৌসুমের প্রথমে ভালো দাম পাওয়া যায়। তবে ফসল পচনশীল হওয়ায় পরবর্তীতে কম দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে হয়।’
কাঁঠালের পাইকারি ব্যবসায়ী মঞ্জু হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চগড়ের কাঁঠালের চাহিদা আছে। ফলে কাঁঠাল রফতানি করে বেশ লাভ হয়।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু হানিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও বাড়ির আঙিনায় রোপণ করা গাছে প্রচুর ফল ধরে। ফলে পঞ্চগড়ের কাঁঠাল বিভিন্ন জেলায় রফতানি হচ্ছে।’
কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কাঁঠালের ইংরেজী নাম Jackfruit। এই ফল সবার কাছেই কম বেশি প্রিয়। এ ফল আকারে বেশ বড় এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কাঁঠালের ৪-৫টি কোয়ায় ১০০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। কাঁঠালের হলুদ রঙের কোষ ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। অপুষ্টিজনিত সমস্যা যেমন- রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে এ ফল অনেক উপকারী। শুধু ফল নয় কাঁঠাল কাঠের আসবাপত্র টেকসয়ী হয়।