পুঁইশাক চাষে লাভ বেশি

  • এস এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মাঠে মাঠে চাষ করা হচ্ছে পুঁইশাক। ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মাঠে মাঠে চাষ করা হচ্ছে পুঁইশাক। ছবি: বার্তা২৪.কম

অল্প পরিশ্রমে এবং স্বল্প খরচে পুঁইশাক চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কৃষকরা।

মিরপুর উপজেলার উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে পুঁইশাক চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

খরচের তুলনায় প্রায় অনেক বেশি লাভের এই পুঁইশাক চাষে মিরপুরের কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছেই। পুঁইশাক আমিষ জাতীয় খাদ্য এবং লোভনীয়। এই শাকের পাতা ও ডাটা বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও বেশ কার্যকরী।

পুঁইশাক খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা, চাষে বাড়তি সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। সামান্য জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারেই পোকা-মাকড় ধ্বংস হয়ে যায়।

গত বছরের চেয়ে চলতি বছর মিরপুর উপজেলায় পুঁইশাকের আবাদ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর মাত্র ১০ হেক্টর জমিতে পুঁইশাক চাষ হয়েছিল। আর এ বছর তা বেড়ে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারাও কৃষকদের সহায়তা করছেন।

উপজেলার বলিদাপাড়া ব্লকে কৃষক রিয়াজ এক বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষ করেছেন। এতে তার ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার পুঁইশাক বিক্রি করেছেন তিনি। লাভ হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে পুঁইশাকের চাষ করবেন।

কেউপুর এলাকার আনোয়ার দেড় বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষ করেছেন। তার মোট ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল প্রথম চালানেই ২০ হাজার টাকার পুঁইশাক বিক্রি করেছেন। আরও লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

ধুবাইল ও চিথলিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানসহ অন্য যেকোনো ফসল চাষে খরচ অনেক বেশি। কিন্তু পুঁইশাক চাষে খরচের তুলনায় লাভ কয়েকগুণ বেশি। তাই তারা দিন দিন পুঁইশাক চাষের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যান্য এলাকার কৃষকরা পুঁইশাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বার্তা২৪.কমকে জানান, পুঁইশাক অধিক লাভজনক চাষ। পুঁইশাক সাধারণত দেড় থেকে দুই মাসের ফসল, তাই একই জমিতে বছরে ৬ থেকে ৮ বার চাষ করা যায়।