বুড়িমারী স্থলবন্দরে অবরোধ চলছে, আটকা পড়েছে কয়েকশ’ গাড়ি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বুড়িমারী স্থলবন্দর। ছবি: বার্তা২৪.কম

বুড়িমারী স্থলবন্দর। ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারে সরকারি ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করেছে নৈশ বাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

সোমবার (১০ জুন) বিকেল থেকে এ অবরোধ চলছে। ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্যবাহী কয়েক’শ গাড়ি আটকা পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পারাপারের সময় দেশ-বিদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত ৪২ টাকা ৭৫ পয়সা ফি পরিশোধ করতে হয়। তবে সোমবার সকালে স্থলবন্দর উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম যাত্রী প্রতি ৪২ টাকা ৭৫ পয়সার স্থলে একশ টাকা দিতে হবে বলে জানান। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করে বুড়িমারী স্থলবন্দর নৈশ বাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। পরে তারা বিকেলে সড়ক অবরোধ করে। ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্যবাহী কয়েকশ’ গাড়ি আটকা পড়ে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস সরকার, পাটগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা, পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী সরকার বুড়িমারী স্থলবন্দর নৈশ বাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করছে বলে জানা গেছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর নৈশ বাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক ইমাম আজম জানান, স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের হয়রানি করতে ৪২ টাকা ৭৫ পয়সার স্থলে একশ টাকা সার্ভিস চার্জ আরোপ করেন। একশ টাকা না দিলে যাত্রী পরিবহনে নিযুক্ত পরিবহনের কোনো লোক বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুমকি দেন। এছাড়াও তিনি অকথ্য ভাষায় শ্রমিকদের গালি দেন। এ কারণে বিকেল থেকে সড়ক অবরোধ করে বন্দরের উপ-পরিচালকের প্রত্যাহার দাবি জানাচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।