গাংনীতে আ’লীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আহত ৭
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে গাড়ি পার্ক করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন সাতজন।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১১টার দিকে গাংনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।
আহতরা হলেন-পার্কের গাড়ির গ্যারেজের ইজারাদার ও সাহারবাটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান টোকন (৪৮), একই ওয়ার্ডের কর্মী রবিউল ইসলাম (৪৫), গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ডালিম, পৌরসভা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক হিরোক, কর্মী রাজু, রিপন এবং স্বাধীন।
আহতদের মধ্যে আতাউর রহমান টোকনকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী শুক্রবার বিকেলে ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে ঘুরতে যান। এসময় পার্কের গ্যারেজে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ইজারাদারদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে গাংনী ফিরে লোকজন নিয়ে সন্ধ্যার পর আবার পার্কে যান। তারা এসময় টোকন ও তার সঙ্গে থাকা রবিউলকে হাতুড়ি পেটা করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ করে ছাত্রলীগের তিনজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে, টোকনের ওপর হামলার খবর তার গ্রাম সাহারবাটিতে জানাজানি হলে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নাহিদের সাহারবাটি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে গাংনী ফেরার পথে গ্রামবাসীর হামলায় তাদের মধ্যে ডালিম ও স্বাধীন আহত হন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি আমি ও আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা পরে শুনেছি। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে গাংনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পার্ক ও সাহারবাটি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।