চাঁদপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম পাটওয়ারি, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম পাটওয়ারি, ছবি: বার্তা২৪.কম

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল-এন্নাতলী এলাকায় নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী (২২) নামে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই যুবক এন্নাতলী পাটওয়ারী বাড়ির আবুল বাসারের ছোট ছেলে। ওই পরিবারের চারজনই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।

বিজ্ঞাপন

নিহতের ভাই খোরশেদ আলম, এক বোন ও বাবা আবুল বাসার জন্মগত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এ বিষয়ে ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল বাসার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নিহতের বাবা আবুল বাসার বলেন, ‘আমি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য টাকা দিয়েও ভাতা পাইনি। ওই ভাতার ঘটনা নিয়ে আমার ছেলে প্রতিবাদ করেছিল। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তরুণ লীগ নেতা কাউছার হোসেন আমার ছেলেকে খুন করে। সোমবার (২৭ মে) রাতে তরুণ লীগ নেতা কাউছার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়। 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন তরুণ লীগের সভাপতি কাউছার হোসেন মোবাইল ফোনে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, নুরুল ইসলাম এলাকার আলাউদ্দিন ফরাজীর মেয়েকে যৌন হয়রানি করছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের মহল্লার দোকানে জনসম্মুখে নুরুল ইসলামের একটি যৌন হয়রানির ঘটনায় সালিশি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরে নুরুল ইসলামের বাড়ির লোকজন বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেয়। আমি নুরুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় জড়িত নই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/28/1559020166035.jpg

ভাতার কার্ডের প্রসঙ্গে কাউছার হোসেন বলেন, তারা আমার কাছে কোনো টাকা দেননি। আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক নেতার কাছে দিয়েছে। তবে তারা এখনো কোনো ভাতার কার্ড পাননি।

নিহত প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামের এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে, ওই তরুণ লীগ নেতা কাউছার হোসেনকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য ২ হাজার ৭০০ টাকা দিয়েছেন। তারপরও কার্ড না পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিজির কাছে অভিযোগ দেন তিনি।

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন রনি ও উপ-পরিদর্শক জাফর আহমেদ, ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তারা জানান, নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শরীরে কোনো জখমের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে তাকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চশমা উদ্ধার করা হয়েছে।